পরিবারকেন্দ্রিক সমাজের মানুষ আমরা। প্রত্যেকেরই একান্ত ইচ্ছা থাকে সবাই মিলে-মিশে প্রশান্তিতে এক ছাদের নিচে বসবাসের। আর নিজেদের আবাসস্থলটি প্রত্যেকে নিজের সাধ্যমতো সাজাতে চান মনের মাধুরী মিশিয়ে। সব বয়সীদের জন্য তো বটেই, বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য ঘরের অন্দরসজ্জা করতে হয় একটু ভিন্ন ধাঁচে। পরিবারের বয়স্কদের শেষ দিনগুলো প্রশান্তিময় হয়ে ওঠতে পারে ঘরের ইন্টেরিয়রে।
আর সেগুলোই জানাচ্ছেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার আলমতাজ পারভীন শ্যামলী।
আধুনিক সময়ে এসে ঘরের সৌন্দর্য এবং আধুনিকতার জন্য প্রত্যেকেই ইন্টেরিয়রের দিকটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছেন। আর বয়স্কদের জন্য ইন্টেরিয়র প্রসঙ্গে আলমতাজ শ্যামলী বলেন, 'পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের ঘরটা ছিমছাম হলে সবচেয়ে ভালো হয়। সেক্ষেত্রে ঘরের ভেতর বেশি আসবাব না রাখাই ভালো। এতে করে তাদের চলাফেরার সুবিধা হয়।
ঘরে আসবাব রাখার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন আরামদায়ক এবং স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহারের উপযোগী হয়। আর আসবাবগুলোও যেন সাদামাটা ধরনেরই হয়। সে ক্ষেত্রে ঘরের একদিকের দেয়ালজুড়ে বানাতে পারেন কেবিনেট আলমারি। ঘরে বড় কেবিনেট আলমারি থাকলে সেখানেই তারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সাজিয়ে রাখতে পারবেন। জিনিসপত্র রাখার জন্য আলাদা আসবাবের প্রয়োজন হবে না।
'
এ ছাড়াও আসবাব স্থাপনের ক্ষেত্রে তিনি আরও বলেন, ' খাটটি জানালার সামনে রাখলে সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ বৃদ্ধ বয়সে মানুষ বেশির ভাগ সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই বিছানার কাছে খোলা জানালা থাকলে তা কিছুটা হলেও শান্তি দেবে তাদের।
এ বয়সে অবসর কাটানোর জন্য অনেকেই প্রিয় সঙ্গী করে নেন বইকে। এ জন্য ঘরে রাখতে পারেন বইয়ের তাক-কাম টেবিল।
এ ধরনের অন্দরসজ্জায় আসবাবের নকশাটা হয় সাদামাটা এবং দেয়ালের রং, সিলিং, পর্দা, বিছানার চাদরে তাদের বয়স ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হয় সাদা বা চাপা-সাদা রঙের ব্যবহার। এ দুটি রং শুধু চোখের নয়, মনেরও প্রশান্তি আনে। শুধু প্রয়াজনীয় আসবাবই নয়; শৌখিন কিছু জিনিসও রাখতে পারেন ঘরে। এ প্রসঙ্গে আলমতাজ শ্যামলী বলেন, 'এ বয়সে এসে মানুষজন শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই তাদের মনকে প্রফুল্ল রাখতে উজ্জ্বল রঙের মাটির পটারি, কুশন, আয়না, গাছ ও বিভিন্ন ধরনের শোপিস সাজিয়ে রাখতে পারেন দেয়ালের সামনে।
বিছানার কোনায় রাখতে পারেন স্ট্যান্ডিং ল্যাম্পশেড। আরাম কেদারা যেন হয়ে ওঠে এ বয়সী মানুষদের ঘরের শৌখিন এবং প্রয়োজনীয় আসবাব। রকিং চেয়ারে বসে বই পড়তে পড়তে বা চা খেতে খেতে কেটে যাবে তাদের অবসরের মুহূর্তগুলো।
তা ছাড়া রকিং চেয়ারের পাশে রাখুন ছোট সাইড টেবিল বা টি-টেবিল। ' *অমিত হাসান অনিক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।