সোমবারের হিমেল সকালে দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেনে চেপে বসল একদল বিদেশি পর্যটক। ত্রিশজনের কম না। ট্রেনের মধ্যে তাঁদের হুটোপাটি দেখলে বোঝার উপায় নেই সকলেই ষাটোর্ধ্ব। কেউ জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে পথচলতি বাচ্চাদের গাল টিপে দিচ্ছেন, কেউ বা ওদের হাতে দিচ্ছেন লজেন্স-ডটপেন। কেউ আবার জানালা একের পর এক টিপে যাচ্ছেন ক্যামেরা শাটার।
জীবনে প্রথমবার দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন দেখে ওঁরা উচ্ছ্বসিত, আত্মহারা।
দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন (দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বা ডিএইচআর ) নিয়ে বিশ্বজোড়া উন্মাদনা অজানা নয়। ২০০০ সালে একে 'হেরিটেজ ' তকমা দেয় ইউনেস্কো। কিন্ত্ত পাগলাঝোরায় ধস নামার পরে ২০১০ থেকেই টয় ট্রেনে চড়ে দার্জিলিং যাওয়ার পথ বন্ধ। তাই নিয়ে কেন্দ্রে-রাজ্যে কম আলোড়ন হয়নি।
রাজ্য পূর্ত দপ্তর ও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রকের সমন্বয়ের অভাবের দিকে একাধিকবার উঠেছে অভিযোগের আঙুল। এমনকি 'হেরিটেজ' খেতাব প্রত্যাহার করে ট্রেনকে 'এনডেঞ্জারড' ঘোষণা করায় হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউনেস্কো। তাদের অধীনেই লন্ডনে গড়ে উঠেছে ডিএইচআর সোসাইটি। শাখা ছড়াচ্ছে পৃথিবী জুড়ে। আর শিলিগুড়িতে তৈরি হয়েছে ডিএইচআর সাপোর্ট গ্রুপ, যাঁদের কাজ বিদেশ থেকে আসা সোসাইটির সদস্যদের টয় ট্রেনে চড়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া।
আর এদের কাজ সরাসরি তত্ত্বাবধান করেন সয়ং ইউনেস্কো কর্তৃপক্ষ। মূলত ইউনেস্কো ও ডিএইচআর সোসাইটির উদ্যোগে শনিবার থেকে শিলিগুড়ি-গয়াবাড়ি ট্রেন চলাচল শুরু হয়। আর শনিবারই টয় ট্রেনে ভ্রমণের স্বাদ নিতে শিলিগুড়ি এসে পৌঁছান শত শত বিদেশি পর্যটক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।