টিভি পর্দায় চোখ সবাই লিংকনের দিকে। তার শট জালে জড়ালেই প্রথম বাংলাদেশের দল হিসেবে আইএফএ শিল্ড জিতে ইতিহাস গড়ে ফেলত শেখ জামাল। না, হলো না ইতিহাস হলো না উৎসব। টাইব্রেকারে লিংকনের শট রুখে দিলেন কলকাতা মোহামেডানের গোলরক্ষক নাসির। এরপর সাডেন ডেথে গোল করে ৪৩ বছর পর প্রাচীনতম আসরে হারানো শিরোপা উদ্ধার করল মোহামেডান।
শেখ জামাল সভাপতি মনজুর কাদের বলেছেন, ম্যাচ টাইব্রেকারে যেত না আমরা নির্ধারিত সময়েই জিততে পারতাম। কোচ জোসেফ আফুসি ও ম্যানেজার গাফফারের ভুলের কারণে মোহামেডানকে শিল্ড উপহার দিয়ে আসলাম। সোমবার ঢাকায় ফিরে কাদের ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন সনি নর্দে লাল কার্ড পাওয়ার পর কোনোভাবেই এমেকাকে তুলে আলীকে নামানো ঠিক হয়নি। এমেকা মাঠে থাকলে ঠিকই গোল পেয়ে যেতাম। বারবার আমি মোবাইলে গাফফারকে অনুরোধ করলাম ইনজুরির কারণে লিংকন খেলতে পারছে না।
ওকে তুলে রেজোয়ানকে নামাও। তবু শুনলো না। আর ব্যথ্যা থাকার পরও লিংকনের নাম টাইব্রেকারে তালিকায় রাখা ঠিক হয়নি। কোচ ও ম্যানেজারের এসব আমার চেয়ে ভালো জানার কথা। অথচ তারাই কিনা ভুল করলেন।
দেশ বা বিদেশে বড় কোনো টুর্নামেন্টে হারার পর স্বয়ং ক্লাব সভাপতি সরাসরি নিজেই কোচ বা ম্যানেজারকে দায়ী করেন না। সে ক্ষেত্রে কাদেরের এমন ভূমিকা ব্যতিক্রমীই বলা যায়। গতকাল এ নিয়ে কথা হচ্ছিল এক সময়ে মাঠ কাঁপানো ফুটবলার ও আইএফএ শিল্ডে শেখ জামালের দায়িত্ব পালন করা গাফফারের সঙ্গে। তিনি বেশ সহজভাবে বললেন, কাদের ভাইয়ের অভিযোগ আমি পত্রিকায় দেখেছি। উনি যা বলেছেন, তা আমার জন্য আর্শীবাদ।
তিনি যে উঁচুমানের সংগঠক তা প্রমাণ দিচ্ছেন শেখ জামালকে ঘিরে। আমি ওয়ান্ডারার্স, মোহামেডান ও আবাহনী তিন বড় দলেই খেলেছি কিন্তু কোনো ক্লাবের সভাপতিকে কাদের ভাইয়ের মতো পরিশ্রম করতে দেখিনি। সুতরাং একজন গুণী বা যোগ্য ব্যক্তি যা বলেন, তা নিয়ে ক্ষোভের কিছু নেই। বরং এটা একটা বড় শিক্ষা। শেখ জামালের আমি আছি কাদের ভাইয়ের কারণে।
তার পাশে থাকাটা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। তবে যে ভুলগুলো নিয়ে কথা উঠেছে আমি সে প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই। যেমন এমেকার বদলে কেন আলীকে নামানো হলো বা লিংকনকে তুলে কেনইবা রেজোয়ানকে নামানো হলো না। এটা ঠিক ম্যাচ চলাকালে কাদের ভাই বারবার আমাকে ফোন করে লিংকনকে তুলতে বলছিলেন। এ ব্যাপারে আমি কোচের সঙ্গে আলাপও করেছি।
তারপরও আফুসি কেন যে এমেকাকে তুললেন আর লিংকনকে তুলল না তা আমার জানার কথা নয়। হয়তোবা কোচ ভালো ভেবেই এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখানে আমার কিছু করার ছিল না। আরেকটা ব্যাপার লিংকনকে কেন টাইব্রেকারে আনা হলো এ নিয়েও কথা উঠেছে। বিশ্বাস করবেন অতিরিক্ত সময়েও খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকার মারবে কারা এনিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচ ও আমি আলাপ করি।
যারা শট নিয়েছে তারা ছাড়া আর রাজি ছিল না বলেই এভাবেই টাইব্রেকারের তালিকা তৈরি করি। দেখুন লিংকনের বল জালে গেলেই এত কথা উঠত না। এখন ভাগ্যে আমাদের ইতিহাস গড়তে দেয়নি। তবে কাদের ভাই ক্ষুব্ধ হতেই পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।