দেশের জন্য উজাড় করা ভালবাসা
এক।
এই অপদার্থ লেখকের নাম কি?
যে বার বার জাতিকে বক্র পথে নিয়ে যেতে চায়। সব কিছুতেই তার নিজস্ব পরিকল্পনার অসার প্রয়োগ আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কিছু লোকের অযোগ্য অভিনয় বার বার প্রমাণ করছে অযৌক্তিক লিখনি আর তার মঞ্চায়ন এই দেশের মাটিতে দর্শক অভাবে শুরুতেই বিনষ্ট হতে বাধ্য। কেন? কার স্বার্থে? কিসের লোভে বার বার ব্যর্থ লিখনি আর অভিনয়।
দুই।
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে কর্পোরেট হাউসগুলো যখন শীর্ষ স্থানে থাকে তখন নিজেরা নিজেদের প্রতিপক্ষ ঠিক করে এবং সেই অনুযায়ী পুরো টিমকে প্রতিযোগিতায় ব্যস্থ রাখে। এই প্রতিপক্ষ সত্যিকারের প্রতিপক্ষ নয়, এই প্রতিপক্ষ হচ্ছে সহজেই অর্জন করা যায় না এমন লক্ষ্য যার পিছনে ছুটতে হয় তাদের কর্মীদের। সরকারের অবস্থা দেখে আমি সেই রকমই একটি চিত্র দেখছি। রাজনীতির বাজারে আজ এই সরকারের কোন প্রতিপক্ষ না থাকায়, তারা নিজেরাই একেক সময় এক একটি পক্ষ খুঁজে বের করছে আর তাদের মোকাবিলায় নিজেদের নিয়ন্ত্রনে থাকা সকল শক্তি ব্যবহার করছে। এক পক্ষ যখনি দুর্বল হয়ে পড়ছে , তখনি নতুন প্রতিপক্ষ তৈরী করা হচ্ছে।
তাই রাজনীতিও আজ কর্পোরেট ধাঁচে চলছে।
তিন।
মুসলিম সংখ্যাগরিস্ট দেশগুলোতে এক অদ্ভুত কৌশল দেখা যায়, যাহা ক্ষমতাকে অগণতান্ত্রিক পন্থায় দীরঘায়িত করতে খুবই কার্যকর বলে প্রামাণিত। বাংলাদেশেও সেই কৌশলের আগমন দেখা যাচ্ছে। তবে সবাইকে জানিয়ে রাখছি, সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকার চেষ্টা করুন।
কারণ এই কৌশলের কার্যকারিতার সহিত ব্যাপক বোমাবাজি, গণহত্যার সম্পর্ক বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। তাই যারা মরিয়া হয়ে উঠেছে আল-কায়দা নামক অস্ত্রটি ব্যবহার করার জন্য, তাদের পরবর্তী টার্গেট আপনি, আমি যে কেউ হতে পারি। আমাদের মারিয়াই তাদের প্রমাণ করতে হবে এই দেশে এই রকম আরো কি কি আছে? আতংকিত এবং একই সাথে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। আল্লাহ্ এই দেশকে বাঁচানোর কায়দা কানুন সব আপনার জানা, নতুন কোন কায়দা যেন এই দেশকে ধ্বংস করতে না পারে।
চার।
বিশ্বাস অদ্ভুদ এক শক্তির নাম। বিশ্বাস ভয়ংকর এক সুপ্ত হাতিয়ারের নাম। এই বিশ্বাসই কারো জীবনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছে, আর কারো জীবনকে ধংসের পথে নিয়ে গেছে। বিশ্ব মানচিত্রে আজ সমাজনীতি, রাজনীতি, অর্থনীতি সব কিছুর মূলে কোন না কোন বিশ্বাস কাজ করছে। বিশ্বাসের সাথে যুক্তির মিশ্রণ ঘঠাতে পারলে এই বিশ্বাস আর শুধু শক্তিতে সীমাবদ্ধ থাকে না, রুপ নেয় মহা শক্তির।
যুক্তি নির্ভর বিশ্বাসই পারে বর্তমান বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বয়ে দিতে, যুক্তি নির্ভর বিশ্বাসই পারে কারো জীবনের দুংখগুলোকে সুখে রুপান্তর করতে, যুক্তি নির্ভর বিশ্বাসই পারে সর্বত্র ভালবাসা ছড়িয়ে দিতে। অন্ধ, গোঁড়া বিশ্বাস সেটা ধর্মীয় হোক বা রাজনীতিক হোক, কখনো প্রগতি নিশ্চিত করতে পারে না, পারে শুধু হিংসা, বিদ্বেষ আর হানাহানি বাড়াতে।
পাঁচ।
আসুন পাকিদের গালি দিই, আর তাহারা যাহা কিছু করে তাহাই করিয়া তাহাদের অনুসরণ করি, তাহাদের পথে চলি, তাহারা যে বিষয়গুলোতে রেকর্ড করে সেই বিষয়গুলোতে আমরাও রেকর্ড করি। কেন? নতুন কিছু করার, নতুন কিছু দেখার, নতুন কিছু শোনার ও বলার কি আমাদের সামর্থ্য নাই? পাকির দেশে সরকার ও বিরোধী রাজনীতি চলে যে পন্থায়, আমাদের দেশে ও একই পন্থায়।
পাকির দেশের বোমা মার্কা হুজুরেরা এই দেশের রাজনীতিকদের পীর, আউলিয়া, দরবেশ। খোদ পাকি বিরোধী রাজনীতিকদের পীর পাকি দেশ হতে আগমন করেন আর তাহাদিগকে পাকি ধর্মে দীক্ষা দিয়ে থাকেন। অদ্ভুত চরিত্রের এই সব মানুষ আর তাহাদের কথা কর্ম দেখিয়া ভাল মানুষদের আর মানুষ বলিতে লজ্জা হয়, তাহাদিগকে হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল এই নামে ডাকিলে হয়তঃ মানুষ বলার চাইতে বেশী সম্মানিত করা হইবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।