আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইন্টার(মি)ইডিয়েট (পর্ব-৩)



শামিমা আক্তার রুমি, রাহিন যার নাম উল্টে মিরু করে দিয়েছিল, মিরু ডাকল রাহিনকে, "শোন রাহিন, আমার সাথে একটু যেতে হবে, বাবার অপিসে, আমি রেজিষ্ট্রেশান এর টাকা যোগাড় করতে পারিনি, এদিকে সময়ও খুব কম, বাবা তার অপিস এর কলিগ থেকে ধার করে যোগাড় করেছে, এখন গিয়ে নিয়ে আসতে হবে, তুমি কি যাবে?" হুম যাব বলে দুজন উঠে বসল রিকশায়, মিরু কেন, কোন বান্ধবীর সাথে এমন করে রিকশায় চড়ার অভীজ্ঞতা রাহিন এর ছিলনা, আর মিরু যেহেতু একটু ধর্মীয় রীতি নিতি মেনে চলে বলে মনে হয়, তার কথাবার্তা, পোষাক, চাল-চলন এসবে তার সাথে রিকশায় চড়বে এমনটা রাহিন কখনো কল্পনাও করেনি, পরীকে নিয়ে এমনটা কখনো ভেবেছে কিনা সেটা বলা যাবেনা।

আচ্ছা রাহিন, সেদিন শিউ মেডাম অমন করেছিল কেন? কি করেছিলে তুমি? প্রশ্নগুলো এমনভাবে বলল মিরু যেন এইতো দুইদিন আগের ঘটনা, রাহিন বলল কবে? এইতো আমাদের ফাষ্ট ইয়ারে, শিউ মেডাম তোমাকে মেয়েদের সামনে দাঁড় করিযে রেখেছিল আর সংগে করে টিচার্সরূমে নিয়ে গিয়েছিল সেই ব্যাপারটা। ও আচ্ছা, সেটাতো অনেক বড় ঘটনা, আচ্ছা বলি তাহলে, তোমার সাথে রিকশায় চড়ে আমার কেন যানি ভাল লাগছে, তোমাকে বলা যায়, আচ্ছা আমরা কি মাঝের মধ্যে এমন করে রিকশায় চড়তে পারি? রাহিন প্রশ্ন করল, মিরু একটু চুপ করে রইল, তারপর বলল হুম...না। হুম না মানে কি বুঝব? হুম না মানে আমার যদিও ইচ্ছে আছে তবে এমনটা করা যাবেনা, আমার ফ্যামিলি জানলে খুব সমস্যা হবে, আমার মা বাবা এসব একদম অপছন্দ করেন, একটা সত্য কথা বলি? তোমাকে আমার খুব ভাল লাগে সেই ফাষ্ট ইয়ার থেকেই কিন্তু কখনো বলা হয়নি তোমাকে, কারন আমার ফ্যামিলিতে এসব একদম এলাউ করেনা। রাহিন এর মাথায় এসব এডাল্ট টাইপ কথাবার্তা কিছুই ঢুকলনা, তবে সে কিছুটা আজ রোমাঞ্চিত অনুভব করল।

আচ্ছা বললেনাতো সেদিন কি হয়েছিল শিউ ম্যাডাম এর সাথে? বলনা শুনি, মিরুর আবার শোনার তাড়া।

অন্তর আর সেলিনার প্রেম এটাতো সবাই জানে, কলেজ এর চেয়ার টেবিল খাতা কলম পর্যন্ত, তাদের প্রেমের শুরুতে আমি ইন হয়ে গিয়েছিলাম এবং সেটা শিউ ম্যাডাম পর্যন্ত গড়াল। বুঝিনি, আরো খোলসা করে বল, বলল মিরু। আচ্ছা বলছি তাহলে, রাহিন এবার শুরু করল সেই প্রেম কাহিনী, "সেলিনাকে অফার দেবার আগে অন্তর একটু চালাকি করেছিল, কিছু আজে বাজে ছেলেকে দিয়ে সে প্রেমের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সেলিনার কাছে, যাতে সেলিনা অন্তর এর দিকে আকৃষ্ট হয়, কিছুটা সিনেমাটিক কাজকারবার, অন্তর একদিন আমাকে রিকোয়েষ্ট করল একটা চিঠি আছে সেটা দিতে হবে সেলিনাকে, কিন্তু বলা যাবেনা কে দিয়েছে সেই চিঠি, বলতে হবে কোন এক ছেলে কলেজ এসে সেলিনার কাজিন পরিচয় দিয়ে তাকে দিতে বলেছে, খুব জরুরী কোন বার্তা আছে সেখানে এমনটা। সেলিনার কাছ থেকে চিঠিটা গেল দিপার কাছে, দিপাতো বুঝ কেমন? কোন ছেলেকেই তার পছন্দ না, এমন একটা ভান করে থাকে যেন দুনিয়ার সব ছেলে তার জন্য পাগল কিন্তু সে পাত্তা দিচ্ছেনা, আসলে অন্যের প্রেম করা নিয়ে সে যে ইর্শায় ভূগে এটা সবাই বুঝে, দিপার বুদ্ধিতে চিঠিটা গেল শিউ ম্যাডাম এর কাছে, শিউ ম্যাডাম আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করল কে দিয়েছে চিঠিটা, সত্য কথা না বললে কলেজ ছাড়া করা হবে, আমার গার্জিয়ান কল করা হবে ইত্যাদি।

আমি শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলাম, দেয়ালে পিঠ না ঠেকলে বলবনা, ওটা আর বেশী দূর গড়ায়নি, শিউ ম্যাডাম আর ব্যাপারটা ঘাটায়নি, আসফিয়া ম্যাডাম হলে আমার অবস্থা মনির এর মতো হতো।

চলবে.....

(বি.দ্র. চরিত্র ঘটনা কাল্পনিক)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।