আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাক ডাকা কমানোর উপায়

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন অনেকেই। যিনি নাক ডাকেন, তাঁর জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আর অবধারিতভাবেই পাশের মানুষটির জন্য হয়ে ওঠে চরম বিরক্তিকর। সাধারণ কতগুলো নিয়ম মেনে চললে নাক ডাকার এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। নাক ডাকা কমাতে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে কিছু পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে।

দেখুন এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে আপনি নাক ডাকা থেকে মুক্তি পান কি না!

কাত হয়ে ঘুমানো
যারা নাক ডাকেন, তাঁরা চিত্ হয়ে না ঘুমিয়ে কাত হয়ে ঘুমাতে পারেন। চিত্ হয়ে ঘুমালে গলার পেশি শিথিল থাকে। ফলে নাক বেশি ডাকার আশঙ্কা থাকে।

ওজন কমানো
স্থূলতার কারণে শুধু ডায়াবেটিস নয়, বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন একজন মানুষ। স্থূলতার কারণেও অনেকে নাক ডাকতে পারেন।

বেশি ওজনের কারণে গলার পথ সরু হয়ে যায়। এর ফলে শ্বাস নেওয়ার সময় টিস্যুগুলোতে ঘর্ষণ লাগে। এতে করে শ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ হয়।

নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ঘুমের ওষুধ পরিহার
অ্যালকোহল বা নেশাজাতীয় দ্রব্য নেওয়ার পরে অনেকে নাক ডাকেন। বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার সময় যাঁরা অ্যালকোহল পান করেন, তাঁরা বেশি নাক ডাকেন।



বেশি বালিশ নেওয়া
মাথার নিচে কয়েকটি বালিশ দিয়েও নাক ডাকা কমানো যেতে পারে। মাথার নিচে বালিশ দিলে বুকের চেয়ে মাথা বেশি উঁচুতে থাকে। এতে করে নাক ডাকার আশঙ্কা কিছুটা কমে যায়।

ধূমপান ছেড়ে দেওয়া
ধূমপান করলে শরীরের অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে বাতাস বের হওয়ার পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে।

এ কারণেও নাক বেশি ডাকতে পারেন অনেকে। তাই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাই ভালো।

নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। এতে করে ঘুমের সঙ্গে শরীরের একধরনের সামঞ্জস্য তৈরি হয়। ফলে অভ্যাসেরও পরিবর্তন হয়।



শরীরচর্চা
শরীরচর্চা করলে পেশি, রক্তের চলাচল ও হূিপণ্ডের স্পন্দন বাড়ে। শরীরচর্চা করলে ঘুমও ভালো হয়। এ কারণে নাক ডাকা কমাতে হলে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চার অভ্যাস করা জরুরি।

প্রচুর পানি পান করা
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এতে করে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠার মতো দ্রব্যগুলো দূর হবে।

নাক ডাকাও কমবে।

নাসারন্ধ্রের পথ পরিষ্কার রাখা
নাক পরিষ্কার রাখাটা খুবই জরুরি। কারণ, এতে করে একজন ব্যক্তি সহজভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারেন। এ কারণে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে নাক পরিষ্কার করতে হবে। এমনকি এ ক্ষেত্রে ইনহেলার ব্যবহার করা যেতে পারে।



দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া
ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে জেগে থাকা অবস্থায়ই খাবার হজম হয়ে যাবে। এর ফলে রাতে ভালো ঘুম হবে। নাক ডাকাও কমবে।
তবে এসব উপায় অবলম্বন করার পরও যদি নাক ডাকা বন্ধ না হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।