আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১২ চেয়ারম্যান জামায়াতের

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার জন্য দেশ-বিদেশে সমালোচিত দল জামায়াতের কয়েক নেতা ভাইস চেয়ারম্যানও হয়েছেন, হয়েছেন নারী ভাইস চেয়ারম্যানও।

চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম পর্বে বুধবার ৯৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়। এতে বেশিরভাগ উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াত নেতারা জয়ী হয়েছে।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর নির্বাচনী এলাকা পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় জামায়াত নেতা মোখলেছুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

জামায়াতের আমির যুদ্ধাপরাধ মামলায় রায়ের অপেক্ষায় থাকা সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী এই এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন।

বর্তমান ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর নির্বাচনী এলাকা পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায়ও চেয়ারম্যান হয়েছেন জামায়াতের নেতা  জহুরুল ইসলাম খান।

বিএনপির দুর্গ বলে পরিচিত বগুড়ায় এবার ভাগ বসিয়েছে জামায়াত। ছয়টি উপজেলার তিনটিতেই চেয়ারম্যান পদ পেয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলটি।

দুপচাঁচিয়ায় মো. আ. গনি মণ্ডল, নন্দীগ্রামে  মো. নুরুল ইসলাম এবং শেরপুরে মো. দবিবুর রহমান চেয়ারম্যান হয়েছেন।

রংপুরের মিঠাপুকুরে জামায়াত নেতা মো. গোলাম রব্বানি চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি অন্য দুটি পদও ঝুলিতে পুরেছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দলটির নেতারা।

নীলফামারীর জলঢাকায় চেয়ারম্যান হয়েছেন জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী সৈয়দ আলী।

সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী সফিউল্লাহ সুফি চেয়ারম্যান হয়েছেন।

সিলেটের ছয়টি উপজেলার মধ্যে দুটিতেই জয় পেয়েছে জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। গোলাপগঞ্জ উপজেলায় নজমুল ইসলাম এবং জৈন্তাপুরে মো. জয়নাল আবেদীন চেয়ারম্যান হয়েছেন।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

খুলনায়ও একটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পেয়েছে জামায়াত। কয়রা উপজেলায় খুলনা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির আ খ ম তমিজ উদ্দিন চেয়ারম্যান হয়েছেন।

এছাড়া নড়াইলের কালিয়ায় এর আগে কখনো জামায়াতে ইসলামীর তেমন প্রভাব দেখা না গেলেও এবার ভাইস চেয়ারম্যান পদে তাদের সমর্থিত প্রার্থী মাওলানা জাকারিয়া ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোট কেন্দ্র দখল, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, আচরণবিধি লঙ্ঘন, জালভোট ও ভয়-ভীতির দেখানো অভিযোগ এনেছে জামায়াত।

তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বেশ কয়েকটি উপজেলায় সন্ত্রাস সৃষ্টি এবং বোমাবাজি করে জামায়াতসহ বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপিও একই অভিযোগ করেছে, তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তা বানোয়াট বলে উড়িয়ে দেয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।