লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি। নতুন কিছু ক্রিয়েট করতে সব সময় ভালো লাগে। নতুন নতুন "গল্প" লিখতে বেশী ভালো লাগে। ।
শুরু হয়ে গেলো সেই বিখ্যাত প্রোগ্রাম! মুত এফ, এম।
দেরী না করে মুল অনুষ্ঠানে চলে যায়। আমি আপনাদের সাথে আছি "আবাল" থুক্কু কি কইতে কি কইয়া ফালায়, আরজে রাসেল। আমার সাথে আজকে আছে রাজু ভাই, আর পান্না ভাই।
(কুষ্টিয়ার কুখ্যাত সেই পান্না মাস্টার না কিন্ত) আজকে জুবায়ের ভাই আমাদের সাথে নেই বলে খুবই দুঃখিত ওনার নাকি এখান থেকে যাওয়ার পর থেকে ডায়রিয়া শুরু হইছে। তবে নেক্সট পর্বে আবারো ওনাকে আনা হবে, সমস্যা নাই।
এখন চলে যাচ্ছি রাজু ভাইয়ের কাছে। তো রাজু ভাই, একচুয়ালি সেদিন আপনার সাথে কি ঘটেছিলো? কি যেন "সরিষার তেল" না কি যেন বলছিলেন?
হ্যাঁ ভাই বলছি, সেদিন ছিলো গভীর রাত! আমি গেছিলাম গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে। মাঝ রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে আমি বের হলাম.. বুঝছেন তো? কি কমু রাসেল ভাই?
হ" বুঝচ্ছি আপ্নে বাথরুমে গেছিলেন, এরপর একচুয়ালি কি হলো?
এরপর কি বলবো ভাই, ঘর থেকে বাথরুম একটু দূরে। বাথরুমের পিছে আবার বাগান। আর বাথরুমটাও ভাই মানসম্মত না।
মাথা নিচু করে ঢোকা লাগে, আবার দাড়াতে গেলে মাথায় বাড়ি খাইতে হয়। তো ভাই ঘটনায় আসি,
অত রাতে আমার তো টয়লেটে যাইতে ভয় লাগছে।
তবুও কি করা যাওয়া তো লাগবেই।
দোয়া দুরুদ পড়তে পড়তে হাতে নোকিয়া ১১০০ সেটের লাইট অন করে রওনা হলাম টয়লেটের উদ্দেশ্যে।
আর কারেন্ট তো নেই গ্রামে।
বোঝেন তাইলে কি ভয়ানক ব্যাপার! ঘুটঘুটে অন্ধকার। আর টয়লেটের সামনে আবার একটা বেড়া টেনে দিয়ে তাই বসা লাগে। ওই রাত্রে আমি কি আবার বেড়া লাগিয়ে দিয়ে মরবো নাকি? তাই বেড়া ছাড়ায় বসলাম।
আর সামনে পিছে ঘনো, ঘনো তাকাচ্ছিলাম।
মনের মধ্যে গভীর ভয় কাজ করছে।
কোন রকম কিছু যেন দেখতে না হয়, এই চিন্তা কাজ করছে মনের ভেতর। এই কথা স্মরণ করতে করতে যেই ভয় পাচ্ছিলাম তাই হলো। শরীরের লোম এখনো খাড়ায় যাচ্ছে আমার।
সামনের দিকে চেয়ে দেখি, দুইটা ছায়ামূর্তি দেখা যাচ্ছে। করিমের বাড়ির পেছনে দাড়াইয়া ওই দুইজন কি যেন করতেছে? আমার ভয়ে পেছনের লাইন গেলো বন্ধ হয়ে, বুঝছেন তো কি কইতে চাইছিলাম? তো কোন মতে আমি অর্ধেক টয়লেট সাইরা, সাহস নিয়া সামনের দিকে আগাইতে লাগ্লাম।
যত কাছাকাছি যায়,
তত ছায়ামূর্তি দুইটা স্পষ্ট হয়। মোবাইলের লাইটের আলোয় ঝাপসা ঝাপসা বুঝলাম, দুজন মানুষের আকৃতিতে দাঁড়ানো খালি গায়, লুঙ্গী কাছা মারা। করিমের বাড়ির পিছে দাড়িয়ে হাতে শাপল হাতে কি যেন করছে? আমি পিছ থেইকা সাহস কইরা একজনের কাধে হাত রাখলাম। যার কাধে হাত রাখলাম, হেই তো পিছে ঘুইরা আমার দুই হাত শক্ত কইরা ধইরা ফেলল।
আমার মোবাইলটা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলো।
আরেকজন সাথে যে ছিল সে মোবাইলটা উঠাইয়া লুঙ্গিতে গিটঠু দিলো। ভয়ে আমার সারা শরীর অবশ হয়ে গেলো।
গলা দিয়ে স্বর বেরচ্ছিলোনা যে চিৎকার দিমু।
যে আমার হাতটা ধরছে, তার হাত বার বার পিছলাইয়া যাইতে ছিল। ওদের দুইজনের শরীর থেইকা "সরিষার তেলের" গন্ধ আইতেছিলো।
এরপর আমার আর কিচ্ছু খেয়াল নাই রাসেল ভাই। সকালে ভোরের দিকে আমার জ্ঞান ফিরলো, তাকাইয়া দেখি আমার শরীরে কিচ্ছু নাই! জামা আর পরনে যে লুঙ্গিডা ছিল, হেইডাও নাই! আমিতো অবাক! পাশে তাকাইয়া দেখি করিমের বাসার পিছে মাটি খোরা! আমি জলদি কেউ দেখার আগে ইজ্জত নিয়া ঘরে ঢুকলাম। বেলা হলে শুনলাম কারা যেন করিমের বাড়ির মাল জিনিস চুরি করছে। কিন্ত আমি মুখ খুলি নাই রাসেল ভাই। মুখ খুইলা বিপদে পড়বো নাকি? হেরা কি আমার কথা বিশ্বাস করবে? অগো যদি কইতাম কাল রাতে দুই ভুতে আইয়া তগো মাল জিনিস আর আমার মোবাইল, "ইজ্জত" সব লইয়া গেছে তাইলে সব আমারে পাগল কইতো! এর জন্য বুদ্ধি খাটাইয়া কিছু কই নাই।
ঠিক আছেনা রাসেল ভাই?
হুম...ঠিক আছে।
তবে কিন্ত একটা জিনিস বুঝলাম রাসেল ভাই,
ভুতেরাও সরিষার তেল মাখে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।