২৭ ভাগ বিমানবালা কর্মজীবনে যৌন হয়রানির শিকার হয়! ভয়াবহ তথ্যটি উঠে এসেছে হংকং ভিত্তিক সংস্থা ‘ইক্যুয়াল অপারচুনিটিজ কমিশন (ইওসি)’- এর এক জরিপে। গত বৃহস্পতিবার সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য প্রকাশ করে সংস্থাটি।
তারা জানায়, ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে শুরু করে জানুয়ারি ২০১৪ পর্যন্ত সময়ে বিমানবালাদের (নারী ও পুরুষ)মধ্যে নয় হাজার প্রশ্নপত্র বিলি করা হয়। এর মধ্যে ৩৯২ জনের উত্তর পাওয়া যায়। মোট অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ নারী এবং বাকি ১৪ শতাংশ পুরুষ উত্তর পাঠিয়েছিল।
যাত্রীদের সবচেয়ে বিরক্তিকর ২০টি অভিজ্ঞতার বর্ণনা উঠে এসেছে ওই জরিপে। দেখা যায়, মোট অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৭ ভাগ গত ১২ মাসে কর্তব্য পালননকালে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
ক্যাথি প্যাসিফিক, ড্রাগনএয়ার, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের বিমানবালা ও কেবিন ক্রুদের মধ্যে ওই প্রশ্নপত্রগুলো বিলি করা হয়েছিল।
ইওসি এর মুখপাত্র মারিয়ানা ল বার্তা সংস্থা সিএনএন-এর কাছে বলেন, প্রধানত দুটো কারণে তারা কম উত্তর পেয়েছেন। প্রথমত বেশিরভাগ বিমানবালারাই হংকংয়ের।
আর দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে যৌন হয়রানি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু এবং একারণে বেশিরভাগই মুখ খুলতে চায়নি। তবে যতটকু জবাবই পাওয়া গেছে তা একটি ভয়ানক দিকেরই দিকে ইঙ্গিত করছে।
হয়রানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পিঠ চাপড়ানো, শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করা, চুম্বন করা ও চিমটি কাটা। আরো আছে অশ্লীল কৌতুক করা, কামুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, অশ্লীল ছবি প্রদর্শন করা অথবা যৌন কাজের আবেদন করা।
জরিপে বলা হয়, প্রায় ৫৯ ভাগ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন যাত্রীদের কাছ থেকে।
৪১ ভাগ সহকর্মীদের কাছ থেকে এর শিকার হয়েছেন। সহকর্মীদের মধ্যে আছেন সিনিয়ররা এবং এমনকি ককপিটের পাইলট সদস্যরাও।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।