সমস্যা টার শুরু কোথায় ভাবতে গিয়া দেখলাম প্রথম দোষ দেয়া যায় পরিবাররে। কেননা একটা বাচ্চা(নারী) রে কেউ কালো বলে খোটা দেয় রাস্তাঘাটে দেখি নাই। প্রথম তার অস্তিত্তে আঘাত লাগে যখন তার জন্মের পরে বাপের মুখ কালো হয়ে যায়। একে নারী শিশু দেখলেই মুখ কালো হয় বাবাদের(আপু, বিরধিতা করার আগে আস্তে,আমি পকেটে যুক্তি না রেখে কি না জেনে লিখতে বসি না)। তার উপরে যখন চামড়া কালো, তখন তো বাপের মাথায় বাজ, এই মেয়েরে পার করতে কত টাকা যে লাগবে কে জানে ।
একটূ পরে আম্মাজানের জ্ঞ্যান ফেরে, বাবা মুখ ফুটে বলে দিতে না পারলেও উনি কিন্তু "অভাগী রে" বলতে ছারবেন না জীবনে সুযোগ পেলেই।
আম্মাজানের আরেক টা কির্তি ফাস করে দেই, উনি আসে পাসে, অমুক ভাবির মেয়ে, কি অমুক মেয়েটার সমকক্ষ বানাতে সচেতন থাকবেন সবসময় ই। তার নিজের মেয়েকে নিয়ে তার ই চিন্তার শেষ নাই, অন্যদের কি হবে।
মেয়ে খানিক টা বড় হলে নিজে বুঝতে শিখবে। মাঝখানে একটা কথা, একটা মানুষের চামড়া কালো হইলে তো তারে বেতন কম দেয়া হয় না বা এক্সামে মার্কস কম দেয়া হয় না, সমস্যা হয় বিয়ার টাইমে, তাই না ?
কালো মেয়ের ভালো পাত্র পাওয়া যাবে না, পেলেও অনেক টাকা দিয়ে পার করতে হবে।
অর্থাৎ কালো হয়ে জন্ম নেবার প্রধান সমস্যা বিয়ে। আচ্ছা কথা টা ঘুরিয়ে বলি ? একটা মেয়ে কালো, তাই তাকে সারাজীবন কি কি সহ্য করতে হবে সবাই জানেই। কেন্দ্রিয় সমস্যা কইলাম বিয়ে । অর্থাৎ মেয়েটার জন্ম হইছে ভালো ছেলের সাথে বিয়ে হবার জন্য। কথা খেয়াল করে " মেয়ের জন্ম , তার বিয়ে হবার জন্য" ও বলা যায়, একটু ভাবেন কেন কইলাম।
( মেয়েদের কেনো বিয়ে হয়, তারা কেনো করতে পারবে না সেই ত্যানা আরেকদিন)
মেয়ে বড় হলো, পছন্দের ছেলে তার দিকে তাকাচ্ছে না, পাসের " সাদা" বান্ধবীর দিকে নজর হেতের, এতে তার মনে ব্যাপক কষ্ট । বর্তমান বিজ্ঞাপন গুলো দেখে কিন্তু তাই মনে হয়, ঈমানে কইলাম। মেয়ে চামড়া সাদা করার ক্রিম মাখলো আর অমনি ক্যাম্পাস ভর্তি পোলা তার পেছনে । মেয়ে কিন্তু এবার খুশি।
মেয়ের চাকরী হচ্ছে না, ক্রিম লাগাও, মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না, ক্রিম লাগাও, মেয়ের অনুষ্ঠান আছে, যেতে পারতেছে না, ক্রিম লাগাও।
সবি চামড়া সাদা করার জন্য।
এর প্রতিকার কি ভাবতে যেয়ে এমন কিছু চিন্তা মাথায় আসলো সেটা পরে লিখতেছি। মানুষ হন ভাই/আপু। মানুষ কে ভালোবাসেন। যোগ্যতা আর চামড়া রে না।
নাইলে আপনে একটা পিওর অমানুষ,কপালে অমানুষ ই আছে, অপেক্ষায় থাকেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।