আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফের ‘ধর্মের তাস’ খেললেন মোদি

মে মাসের পার্লামেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ভারতজুড়ে প্রচারণায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতির তাসটি গোপন রেখে নিজেকে ‘উন্নয়নের প্রাণপুরুষ’ হিসাবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন মোদি। তবে শনিবার বাঙালি অধ্যুষিত আসামের শীলচরে এক জনসভায় বিজেপির সেই পুরনো চেহারাই ফিরিয়ে আনলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী; এর সঙ্গে বাংলাদেশকেও জড়ালেন।    

“বাংলাদেশ থেকে অনেকেই আর্থিক কারণে আমাদের এখানে আসে। আবার কেউ কেউ আসে ঝামেলা পাকাতে। তাদের আসা আমদের আটকাতে হবে।

কিন্তু যে হিন্দুরা নিপীড়ন-নির্যাতনের ভয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসছেন, তাদের আমরা আটকাতে পারি না। ”

মোদি বলেন, পাকিস্তান থেকে এসে যে হিন্দুরা আশ্রয় চেয়েছে, নিজের রাজ্য গুজরাটে তিনি তাদের সেই সুযোগ দিয়েছেন।

“আমরা তাদের যত্ন নিয়েছি। তাদের যত্ন আমাদের নিতে হয়েছে। বিদেশে যে হিন্দুরা আছে, তারা যদি সে দেশে বড় ধরনের হুমকির কারণে আমাদের এখানে আসতে চায়- ভারত তাদের পিঠ দেখাতে পারে না।

প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে বলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও আসামের কয়েকটি দল অভিযোগ করে আসছে। অবশ্য বাংলাদেশ সরকার কখনোই বিষয়টি স্বীকার করেনি। বরং সম্প্রতি নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনার পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থাই সরকার নিয়েছে।           

আসামে কারো জাতীয়তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে তাদের ‘ডি-ভোটার’ হিসাবে তালিকাভুক্ত করার যে ব্যবস্থা, তারও সমালোচনা করেছেন মোদি।   

সাম্প্রতিক সময়ে আসামে বহু বাংলাভাষীকেই এ সমস্যায় পড়তে হয়েছে- তার ধর্ম যাই হোক।

বাঙালি হলেই তাদের অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী হিসাবে চিহ্নিত করার একটি প্রবণতা ইদানিং স্থানীয়দের মধ্যে দেখা যাচ্ছে।    

একবার ‘ডি-ভোটার’ হিসাবে চিহ্নিত হলে তিনি আর ভোট দিতে পারেন না। তাকে থাকতে হয় ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’।    

শীলচরের জনসভায় মোদি প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি ভারতের ক্ষমতায় গেলে- এসব ডিটেনশন ক্যাম্প তুলে দেয়া হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আসামে এসে এমন বক্তব্য দিয়ে মোদি দৃশ্যত জাতিগত সাম্প্রদায়িকতার বদলে ‘হিন্দু ঐক্যের’ পক্ষে দলীয় অবস্থান তুলে ধরলেন।

 


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।