আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

LAB AID VICTIM SUPPORT

Everything I Know, I want to forget

রাজধানীর স্বনামধন্য চিকিৎসালয় ল্যাব এইড। অপ-চিকিৎসা, অব্যবস্থাপনা এবং অবহেলার কারনে প্রায়শই এখানে রোগীর আর্তনাদ শোনা যায়, প্রভাবশালীতা ও ক্ষমতার দাপটে যা কখনোই দেয়ালের বাইরে আসে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও নিরব ভূমিকা পালন করে কখনো অঙ্গাত কোনো কারনে, কখনো উপযুক্ত তথ্য প্রমানের অভাবে।

এইতো সেদিন, ল্যাব এইডের অপ-চিকিৎসার কারনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের পা কেটে ফেলতে হয়। ড: মৃদুল কান্তির অকাল প্রয়ান ঘটে, দৃষ্টিশক্তি হারায় ৬মাসের শিশু।

অবসরপ্রাপ্ত আইজি পত্নীর অকাল মৃত্যুর জন্যও দায়ী এই ল্যাব এইডের অবহেলা এবং ভূল চিকিৎসা। সেই সাথে রোগীর আত্বীয়দের সাথে দু্র্ব্যাবহারতো নিত্যদিনের ঘটনা। নতুন মাত্রা যোগ নেয় গত ৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৪। সিসিইউ এর অভ্যন্তরে ডাক্তার এবং ল্যাব এইড কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সদ্যমৃত রোগীর আত্বীয়-স্বজন কে প্রহার করা হয়, নির্মম ভাবে।

প্রতিদিন অসংখ্য রোগী এখানে আসেন কাড়ি কাড়ি টাকার বস্তা নিয়ে, সু-চিকিৎসার আশ্বাসে।

অনেকেই ভূলের মাশুল গুনেন তাদের বাবা,মা,ভাই,বোন,বউ,বাচ্চাদের সেখানে নিয়ে গিয়ে। সাধ্যের বাইরে খরচ করে যখন জোটে অপচিকিৎসা এবং নার্স-ডাক্তারদের দুরব্যাবহার, প্রতিবাদী চোয়াল তখন শক্ত হয়ে উঠে। সেই কন্ঠরোধ করার জন্যও আছে ভাড়াটে গুন্ডা। এ্যাপ্রণ পরিহিত এদের কাজই এই ঝামেলা দূর করা।

কিন্তু এভাবে আর কত?
চিকিৎসার নামে এই নৈরাজ্যের সাহস তারা কোথায় পেলো?
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কেনো নিরব?
ডাক্তার হয়ে রোগীর পরিজনের গায়ে হাত তোলার সাহস তারা কোথায় পায়?
মিডিয়ার কন্ঠরোধ করার মত শক্তির উৎস কোথায়?

এই শক্তির উৎস আপনি, আমি, আমরা এবং আমাদের নিরবতা।

মনে রাখবেন, এটা আমাদের নিয়তি বা দূর্বলতা নয়, এটা অন্যায়। আমাদের উদ্দেশ্য এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। প্রতিবাদের কোনো নির্দিস্ট ভাষা নেই, নেই মাধ্যম। আপনি যদি হয়ে থাকেন, এই অন্যায়ের শিকার, অথবা যদি মনে করেন এই অন্যায়ের আশু প্রতিকার প্রয়োজন, অথবা যদি আপনার বিবেককে নাড়া দিয়ে থাকে, তবে সোচ্চার হন, শরীক হন আমাদের সাথে। যুক্ত হন হাজারো কন্ঠের সাথে।



Click This Link

বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রমান চেয়ে লজ্জ্বা দিবেন না। দেখা হবে মন্তব্যে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।