Hope
উপরের ক্যাচটা মিস না হলে মানে ধরতে পারলে ১৯৯৯ ওয়ার্ল্ডকাপ অস্ট্রেলিয়ার জেতা হত না,অস্ট্রেলিয়া এত শক্তি পেয়ে বাকী ক্রিকেট দুনিয়া থেকে ১০ বছর এগিয়ে যেতোনা,টানা ৩ বার ২০০৩ আর ২০০৭ বিশ্বকাপ জয়ের আত্মবিশ্বাসের সূচনা হত না,টেস্টে বছরের পর বছর এক নাম্বার হওয়ার মানসিক শক্তি পেতনা।
হ,এটা এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনা ক্রিকেট দুনিয়ার। কারণ ১৯৯৯ এর সুপারসিক্সের সেই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া হারা মানেই বিদায়। সাউথ আফ্রিকা আগেভাগেই সেমিফাইনালে পৌছে যায়। আরও মজার ব্যাপার অস্ট্রেলিয়া হারা মানে জিম্বাবুয়ের সাথে সেমিফাইনাল খেলত সাউথ আফ্রিকা।
আর জিম্বাবুয়েকে সেমিফাইনালে হারিয়ে হান্সি ক্রোনিয়ের সাউথ আফ্রিকা ফাইনাল খেলে তাদের একমাত্র ওয়ার্ল্ডকাপ নকআউট ম্যাচ জিতে নিত(সাউথ আফ্রিকা এখনও কোন ওয়ার্ল্ডকাপে নকআউট ম্যাচ জিতে নি বরং সবগুলোতেই হারসে)। আর ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে সাউথ আফ্রিকা কিংবা সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে পাকিস্তান-বিশ্বক্রিকেটের গতি অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু হার্শেল গিবসের সেই মিস হওয়া ক্যাচ সবকিছু বরবাদ করে দেয়। কারণ এরপর স্টিভ ওয়াহ করে সেঞ্চুরী,অস্ট্রেলিয়া জেতে ম্যাচ আর সেমিফাইনালে যায় অস্ট্রেলিয়া। আর সেমিফাইনালে আরও বড় বিস্ময়!শেষউইকেট জুটিতে যখন ৩ বলে ১ রান দরকার তখনই সবচেয়ে বড় অঘটন!ক্লুজনার আর ডোনাল্ডের বোকামীতে ক্লুজনার রানআউট হয়ে যায় আর ম্যাচটা টাই।
সেই কুখ্যাত টাইয়ের পর অস্ট্রেলিয়ানদের প্রাণে পানি আসে আর তারা বুঝতে পারে ফাইনাল খেলছে তারাই
ম্যাচে নেট রানরেট আর পূর্ব সাক্ষাতের মূখোমুখি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের(তাও আবার হার্শেল গিবসের সেই মিস করা ক্যাচের ম্যাচ)সুবাদে ফাইনালে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া(স্কোরঃ অস্ট্রেলিয়া ২১৩(৪৯.৩) সাউথ আফ্রিকা ২১৩(৪৯.৪)) আরও বড় শ্বাসরুদ্ধকর ব্যাপার যে এক বল আগেই অস্ট্রেলিয়ার ড্যারেন লেমেনের থ্রো করা বল স্টাম্পে লাগেনি আর ডোনাল্ড রানআউট হয়নি। হলে কি হত?আউট হলে রানরেট থাকতো একই(উভয় দলের ৪৯.৩ ওভারে অলআউট),ফাইনালে যেত সাউথ আফ্রিকা,যদি ট্রাইবেকার/এক ওভারের ম্যাচ আয়োজন করা হত এবং এতে অবশ্যই তারাই জিতে নিত। বোঝেন এবার,অপেক্ষাকৃত দূর্বল জিম্বাবুয়েকে পেলে কি আর এত কিছু হত?মোটেই না।
যারা জানেন তারা তো জানেনই আর যাদের স্বরণে নেই তারা আরেকটিবার দেখে নিন,এই সেই বিখ্যাত ওভারের চারটি বল:
ঢাকায় এসে সাউথ আফ্রিকা যেমন ১৯৯৮ সালের নকআউট ওয়ার্ল্ডকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল তেমনিভাবে ১৯৯৯ সালে ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে সহজভাবেই ওয়ার্ল্ডকাপ জিতে নিত। কিন্তু কিছুই হলনা শুধুমাত্র হার্শেল গিবসের সেই ভুলের কারণে।
ভিডিওতেই দেখেন ক্যাচটা ধরেও আনন্দ করার জন্যে আগেভাগেই শূন্যে ভাসিয়ে দিতে চাইলে বল হাত থেকে পরে যায় আর সেই সাথে পাল্টে যায় ক্রিকেট দুনিয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।