মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, “১৫ জনের দল গড়ার সময় অধিনায়কের সঙ্গে নির্বাচকদের যে আলোচনা করতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। তারপরও যা হয়েছে তা মিস কমিউনিকেশন ছাড়া আর কিছু নয়। ”
গত রোববার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এশিয়া কাপ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করার আগে নির্বাচকরা তার সঙ্গে আলোচনা না করায় তিনি অসন্তুষ্ট।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক মনে করেন, বিষয়টি সামনে এসে ভালোই হয়েছে। তার মতে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বা ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির উচিৎ দল গড়ার সময় নির্বাচকদের সঙ্গে কোচ ও অধিনায়কের আলোচনায় বসা নিয়ম করে দেয়া।
“মতামত নেয়া ‘মাস্ট’ করা যায়। ১৫ জনের দল গড়ার সময় কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গে নির্বাচকদের আর একাদশ গড়ার সময় নির্বাচকদের সঙ্গে কোচ ও অধিনায়কের। এই নিয়ম করে দিলে ভালো হবে। ”
ফারুক আরো বলেন, “আমি এমন একটা দল দিলাম যা অধিনায়কের পরিকল্পনার সঙ্গে যাচ্ছে না। বা আমি একটা পরিকল্পনা করে দল দিলাম যা সে বুঝতে পারছে না।
এ সব কারণে ‘কমিউনিকেশন’ ভীষণ জরুরি। সাবেক অধিনায়ক হিসেবে আমি জানি অধিনায়ককে কতটা চাপ নিতে হয়। ”
ফারুক জানান, এশিয়া কাপের আগে প্রত্যেকবারই দল গড়ার সময় কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলে নেয়া হয়েছে। এবারো তারা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দল ঘোষণার সময় বাংলাদেশের খেলা চলছিল বলে মুশফিক মাঠে থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দল ঘোষণা করার শেষ সময় চলে এসেছিল। কিন্তু তখনো মুশফিক মাঠে ছিল। আমরা কোচের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেছি। আমরা মনে করেছি, কোচ অধিনায়কের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ”
এশিয়া কাপের দল ঘোষণার প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় মঙ্গলবার শুনানিতে আসতে হয়েছে মুশফিককে।
এরপর প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে অধিনায়কের ‘দূরত্ব’ কমেছে বলে দাবি করেছেন ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান আকরাম খান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।