খুবই খারাপ লাগছে বলিউড মুবি গুন্ডে ছবিটি দেখার পর যতটা না, শুনে খারাপ লেগেছিল। বাংলাদেশের অধিকাংশ বিনোদনপ্রেমী মানুষ বলিউড মুভি এবং হিন্দি গান এবং ইন্ডিয়ান সিরিয়াল ভালবাসেন, বংলাদেশের চলচ্চিত্র এবং বাংলা নাটক থেকে অনেকবেশি ভালবাসে। বলিউড ভালবাসার প্রতিদান এইভাবে দিল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নাকি ভারতের সাথে পাকিস্তানের হয়েছিল, সেই যুদ্ধে ভারতের সেনাবাহিনীর কাছে পাকিস্তানী সেনারা ঢাকায় আত্মসমর্পণ করেন এবং জন্ম হয় নতুন একটি দেশ ‘বাংলাদেশ’। বলিউডের এই ছবির শরুর কাহিনী উক্তি অনুযায়ী ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশ স্বাধীন করে।
তাহলে বাঙ্গালী কি করেছিল, ৭জন বীরশ্রেষ্ঠ কারা ছিল, অনান্য মুক্তিযুদ্ধারা কারা ছিল, ৩০ লহ্ম মানুষ যদ্ধে নিহত হয় তারা কারা কোন দেশের ছিল, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল কারা কোন দেশের ছিল এবং ঢাকায় পাকস্তানীরা কার কাছে আত্মসমর্পণ করেন এবং কার কাছে। ১৯৭১ সালে বংলাদেশের মু্ক্তিযুদ্ধে ভারতের কয়জন সেনা অংশগ্রহণ করেছিল। যারা অংশগ্রহণ করেছিল তাদেরকে বলা হয় মৈত্রীবাহীনী। গুন্ডে ছবিতে তাদের অবদান নিয়ে বা সঠিক তথ্যটি ছবিতে দিতে পারত। Yashraj Films হ্মমা চেয়ে বলেছে ভারতীয় সেনাদের বিষয়টি শুধুমাত্র তুলতে চেয়েছিল সেহ্মেত্রে বাংলাদেশের যদ্ধে অংশ্গ্রহণকারী ভারতীয় বাহনিী অর্থাৎ মৈত্রীবাহিনী দেরকে নিয়ে বা তাদের অবদানের কথা গুন্ডে ছবিঠিতে উল্লেখ করতে পারত।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশকে সহযোগীতা করেছে সেটা স্বীকার করি এবং বাংলার মানুষ সবসময় মনেও রাখবে। রাশিয়াও তো বাংলাদেশকে সহযোগীতা করেছিল শেষমূহুর্তে রাশিয়া যদি বাংলাদেশকে সহযোগীতা না করত আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ টি যদি বাংলাদেশে এসে পারত তাহলে ভারত বংলাদেশকে যতই সাহায্য করুক না কেন বাংলাদেশর জন্ম হত না, আমেরিকার সেই জাহাজটিকে রাশিয়াই তো বাধা দেয় ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা খুব তাড়াতাড়ি সম্ভব হয়। আজ কোথায় আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও অনান্য রাজনৈতিক দল কোন দলই তো এ নিয়ে কিছু বললেন না। বিএনপি করে নাই তাতে আমার তেমন খারাপ লাগছে না কিন্তু আওয়ামীলীগ তো কিছু করার উচিত ছিল। আমার কুমিল্লা পলিটেকনিক ইস্টিটিউটে দেখলাম আওয়ামীলীগের একটি ব্যানার টানানো তাতে লেখা আছে “আমরা কারো পহ্মে ছিলাম না, কারও পহ্মে থাকব না।
আমরা মুক্তিযুদ্ধের পহ্মের মানুষ এবং মুক্তিযুদ্ধের পহ্মেই থাকব। ” –এই বানীটা মনে হয় আওয়ামীলীগের কোন নেতা বা হয়তবা প্রধানমন্ত্রীর বাণী আমি সঠিক জানি না। ছোটকাল থেকেই যখন কিছু বুঝি না তখন থেকেই নিজে নিজেই আওয়ামীলীগের প্রতি সমর্থ্ন জন্মায়। এবং আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের প্রধান দলগুলো কোনটাই পুরোপুরি সাধু নয় তবে অনান্য দল থেকে এবং তাদের তুলনায় আওয়ামীলীগ কিছুটা হলেও সাধু তাই আওয়ামীলগকে সমর্থ্ণ করি যেহেতু অন্য কোন বিকল্প দল আমি আর খুজে পাই না। সে জন্য আজকের বলিউডের এই ঈচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারনে বেশি খারাপ লাগছে কারণ আওয়ামীলীগ নিশ্চুপ।
আরও খারাপ লাগছে কোথায় আজকে শহবাগের গণজাগরণমঞ্চ তারাও তো পারতে সেদিনের মতো মানববন্ধন করতে, মোমবাতি প্রজ্জলন করতে দেখিয়ে দিতে পারতো বিশ্ববাসীকে ভারতের ছবিটিতে মিথ্যা বলা হয়েছে বাংলাদেশের জন্ম নিয়ে আজকে তারাও নিশ্চুপ। আসলে সত্যিকথা বলতে আপনি, আমি, আপনারা, আমরা, রাজনৈতিক দলগুলো, শহবাগের গণজাগরণমঞ্চের কেউই “বাংলাদেশকে, বাংলা মা” কে মন থেকে ভালবাসে না। তাই সবাই নিশ্চুপ । তবে আমি মনে করি এবং আমি এটা দাবি করছি- এই জন্য শুধু YASHRAJ FILMS হ্মমা চাইলেই হবে না হ্মমা চাইতে হবে ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডকে তারা কিভাবে এবং কেন ছবিটির ছাড়পত্র দেয় এবং হ্মমা চাইতে হবে ইন্ডিয়ান সরকারকে এবং এই ছবির সকল কলাকুশলীকে এবং হ্মমা চাইতে হবে বাংলাদে্শের মানুষের কাছে বাংলা মায়ের কাছে বাংলার মাটিতে এসে। ভারত বাংলাদেশের প্রতি খুবই অবিচার করছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় বিনা কারণে বিএসএফ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করছে।
আর একটা দিক লহ্ম করেছেন বাংলাদেশের খেলোয়াররা আইপিএল এ খেলতে যায় কিন্তু ভারতের একটি খেলোয়ারও বাংলাদেশের বিপিএলে এ খেলতে আসে না। তারা বাংলাদেশকে কি এতই ছোট মনে করে। মনে হয় তারা অহংকার করছে। তবে সত্যিই যদি অহংকার করে সৃষ্টিকর্তা অবশই অহংকারের অহংকারী চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিবেন। ভারত আসলেই একটি স্বার্থপর দেশ স্বার্থ ছাড়া কিছুই করে না ওদের মানবতা বলে কিছু নেই।
তাদরে হ্মমতার বড়াই বাংলাদেশকে দেখায়। তাহলে আজ তাদের আচরণে বুঝা যাচ্ছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযদ্ধের সহযোগীতা স্বার্থের জন্যই করেছিল মানবতার জন্য বা ভালবাসা থেকে করে নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।