সাধারন মানুষের অসাধারন কথা বলতে চেষ্টা করি আমার ছোটবোন। ছোট বোন তো অনেক আছে, আমার আপন ছোট বোনের কথা বলছি। বয়স ১৫। এখন থেকে নিজেকে বেশ বড় ভাবা শুরু করেছে, আসলে ওর যা বয়স ওকে ছোটদের দলেও ফেলা যায় না আবার বড়ও ভাবা যায় না। বড়ই অদ্ভুত বয়স, অবশ্য আমিও এ বয়স পার করে এসেছি।
তবে ছেলে হিসেবে পনের বছর বয়স বেশি না।
যাই হোক, ওর আবেগ মনে হয় কিঞ্চিত বেশি। সামান্য কথায় হাসে, হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায়। বার সামান্যতেই কাঁদে। এর আগে একদিন দেখেছিলাম সিরিয়াল দেখে কি কান্নাকাটি।
সে কি কান্না। ভেবেছিলাম কি না কি। রাতে ভাত খায় নি। সিরিয়ালের নায়িকা নাকি এক্সিডেন্ট করেছে। নায়িকার নাকি ওই দিন বহু প্রতীক্ষিত বিয়ে হবার কথা ছিল, কাহিনিকে রাবারের মত টেনে লম্বা করার প্রছেস্তা...পরে শুনলাম নায়িকা বেঁচে গেছে এবং তার প্লাস্টিক সার্জারি হয়েছে।
কিন্তু এতে আগের খাটো নায়িকা কিভাবে জানি লম্বা হয়ে যায়।
গাধা মেয়েটার রুচিতে কিভাবে কুলোয় তা বুঝিনা
কখন কখন কি যে বলে নিজেও বোঝে না। ঐ দিন জেঠি আমাদের বাসায় এসেছিলেন। আসার পর বিদেশ থেকে ফোন আসে, জেঠা বিদেশে হার্ট অ্যাটাক করেছে। শকড হবার মতই ঘটনা, জেঠি তো খুব কান্না কাটি শুরু করলেন, তাকে যতই বুঝাই তিনি বুঝতেই চান না... স্বাভাবিকই!!
কিন্তু বোকাটা এসে বলে “জেঠি এত জোরে কাঁদছেন কেন? আপনি কাঁদলেই কি জেঠার অসুখ ভাল হয়ে যাবে?”
আরে!!গাধাটা বলে কি!!কয়দিন আগে ফালতু সিরিয়াল এর জন্যে জন্যে নিজে কেদেছে আজ বলে কি না কেদে লাভ কি?আমি তো পারলে গাধাটা কে মুক্ত হস্তে চড় দিতাম, বহু কষ্টে নিজের নিজের রাগ দমন করলাম।
এমনিতেই বয়স ১৫ চড় খেয়ে আবার কি করে বসে......
আমার গাধা বোনটাকে অনেক দিন দেখি না, পরীক্ষার পর সিলেট গেছে। বাইরে থেকে এসে বোকাটাকে না দেখলে কেমন কেমন জানি লাগে!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।