অযথা ঝগড়া বিবাদ ভাল লাগে না। শিক্ষা বলতে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়। সু শিক্ষা চাই সর্বত্র।
স্বামী মারা গেছে সেই কবে। ছেলেরা বউ নিয়ে যার যার মত আলাদা বাসা বেধেঁছে।
একমাত্র গার্মেন্টসকর্মী মেয়েকে নিয়ে ভোলাইল গেউদ্দার বাজারের কাছে টিনের ঘরে ভাড়া থাকে হালিমা বেগম। গ্রীষ্মকালে এই ঘরে গরমে হা হুতাশ করতে হত। এখন চিত্র উল্টো। টিনের ছিদ্র দিয়ে ঠান্ডা কনকনে হাওয়ায় ঘরটা যেন আলু রাখার কোল্ডস্টোর হয়ে যায়। কাঁথায় শীত মানে না মা -মেয়ের।
তাই দু’দিন আগে ৬ ঘন্টা বক্তব্য শুনে একটি কম্বল পেয়ে মনে মনে বেশ খুশী হয়েছিল সে। তবে রাতে তার সেই খুশী মিলিয়ে যায়। দানে পাওয়া কম্বলটা কাঁথার চেয়েও পাতলা।
গত কয়েকদিনের হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জন জীবন। ঘরে বাইরে সর্বত্র কনকনে ঠান্ডা।
আবহাওয়াবিদদের মতে, শৈত্যপ্রবাহ চলছে এখন। একাধিক গরম কাপড় গায়ে চাপিয়েও রেহাই পাচ্ছে না মানুষ। শীতের তীব্রতা এতই বেশী যে জরুরী কাজ না থাকলে বাইরে বেরুচ্ছে না অনেকে। তবে দিন আনে দিন খায় এমন মানুষ বাধ্য হয়ে বেরোয়। বাড়ৈভোগের রিকশা চালক আলমগীর জানান,সিরিয়াল রিকশা চালাই।
এ দিয়ে ঘর ভাড়া, খাওয়া খরচ যোগাতে হয়। যত ঠান্ডাই হউক বাইরে বেরুতে হবেই। তার মত অনেক দিনমজুর শীতের সাথে লড়াই করে জীবিকা আহরন করে। শহরের দ্বীগু বাজার থেকে ভোরে সবজী কিনে এলাকায় বিক্রি করেন মদনগঞ্জের লিটন। এই শীতেও থেমে নেই সে।
আলাপচারিতায় জানায়, ভাই নিজের বাড়ি থাকলেও অন্য কোন কাজতো শিখিনি। তাই শীত যতই থাকুক সবজী বিক্রি করতে ভোরে উঠতেই হয়।
এই মুহূর্তে স্কুল কলেজ সব বন্ধ থাকলেও ঘরের ভেতর থাকা শিশু-কিশোররাও শীতে আক্রান্ত। শৈত্যপ্রবাহ থাকায় ঘর থেকে বের হচ্চে না তারা। এর মধ্যে কাউকে কাউকে শীতজনিত রোগ নাগাল পেয়েছে।
ঘরে-ঘরে স্বর্দি-জ্বরের খবর শোনা যায় মহল্লার ওষধের দোকানদার ও চিকিৎসকদের কাছ থেকে। এতে বৃদ্ধরাও আক্তান্ত হচ্ছে। ফতুল্লা লঞ্চঘাট সংলগ্ন রনজিৎ ফার্মেসীর মালিক স্বাগতম মোদক রনি জানান, এখন ঠান্ডাজনিত রোগের ওষধ বেশী বিক্রি করি। একই কথা জানালেন ডাক্তার আনন্দ কিশোর ঘোষ। তিনি বলেন, এই সময়ে শিশু ও বৃদ্ধদের অতিরিক্ত পরিচর্যা করতে হবে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে আরো ৫টি শৈত্যপ্রবাহ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে শীতকে সামনে রেখে কম্বল বিতরনের রেওয়াজ চালু আছে বহু দিন ধরে। এবারো নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে কম্বল বিতরন করছে বিভিন্ন সংগঠন। বিষয়টি ভাল উদ্যোগ বলে মনে করেন সচেতন মহল। তবে এতে যেন আন্তরিকতা থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
তাদের মতে, শুধু লোক দেখানো কম্বল বিতরন করলেই হবে না। সেই কম্বল যেন শীতার্ত মানুষের কাজে আসে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কম্বল যদি শীতকে ঠেকাতেই না পারল তবে সেই কম্বল বিতরন করে কি লাভ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।