আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক ঝটকায় দূর করুন নিঃশ্বাসের দূর্গন্ধ

মুখে দূর্গন্ধ নিয়ে অনেককেই হরহামেশা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। চলন্ত বাসে পাশের সিটে বসা মুখরা কেউ শুনিয়েও দিতে পারেন দু'টো বেশি কথা। দাত তো ঠিকই ব্রাশ করছেন, কিন্তু দূর্গন্ধ তো যাচ্ছে না! এমন পরিস্থিতিতে আপনি কী করবেন? নানান রকম খাবারের কারণে অথবা ব্যকটেরিয়ার প্রভাবে মুখে দূর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। যাদের হজমে সমস্যা আছে তাদের মুখে দূর্গন্ধ হয় তুলনামূলক বেশি। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলেও বাড়ে মুখের দূর্গন্ধ।

তবে মুখে দূর্গন্ধ সৃষ্টি হলে সহজেই তা দূর করার কিছু উপায় আছে। কিছু বিশেষ খাবার আছে যেগুলো নিমিষেই মুখের দূর্গন্ধ দূর করে দেয়। আসুন জেনে নেয়া যাক মুখের দূর্গন্ধ দূর করে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে।

পানি: মুখে দূর্গন্ধ হলে পানি খেয়ে নিন। খুব সহজেই মুখের দূর্গন্ধ দূর করা যায় পানি পান করে।

প্রথমে মুখে কিছু পানি নিন। এরপর সেটা ভালো করে কুলি করে ফেলে দিন। এরপর এক গ্লাস পানি খেয়ে ফেলুন। মুখের দূর্গন্ধ কমে যাবে।

লবঙ্গ: আপনার মুখে যদি দূর্গন্ধ হয়ে থাকে তাহলে সঙ্গে সব সময় লবঙ্গ রাখুন।

যখনই মনে হবে মুখ থেকে দূর্গন্ধ বের হচ্ছে তখনই মুখে একটি লবঙ্গ রেখে দিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখের বাজে গন্ধ চলে যাবে।

এলাচ: এলাচ মুখের দূর্গন্ধ দূর করতে সহায়ক। আপনার পকেটে সবসময় কয়েকটি এলাচ রাখুন। মুখে দূর্গন্ধ হয়েছে মনে হলেই এলাচ দানা চুষতে থাকুন।

কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখের দূর্গন্ধ চলে যাবে।

লেবু/কমলা: লেবু কিংবা কমলাতে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। ভিটামিন সি মুখের দূর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যকটেরিয়াকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে মুখের দূর্গন্ধ দূর হয়ে যায় পুরোপুরি। তাই মুখে দূর্গন্ধ অনুভূত হলেই লেবু কিংবা কমলা খেয়ে নিন।

নিয়মিত অন্তত একটি কমলা খেয়ে মুখের দূর্গন্ধকে চিরতরে বিদায়ও দিতে পারবেন।

আপেল: আমরা যখন আপেল খাই তখন মুখে প্রচুর স্যালাইভা উৎপন্ন হয়। ফলে আপেল খেলে মুখে দূর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যকটেরিয়া লালার সঙ্গে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং মুখের দূর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।

চুইংগাম: দোকানে নানান ফ্লেভারের চুইংগাম পাওয়া যায়। চুইংগাম চিবিয়ে নিলে মুখের দূর্গন্ধ দূর হয়ে যায় কিছুক্ষণের মধ্যেই।

চুইংগাম চাবানোর সময় মুখে প্রচুর পরিমানে স্যালাইভা উৎপন্ন হয়। ফলে মুখে জমে থাকা ব্যকটেরিয়া পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে চিনিযুক্ত চুইংগাম এর বদলে চিনিমুক্ত চুইংগাম খাওয়া ভালো।

সবুজ চা: সবুজ চায়ে প্রচুর ফ্ল্যাবনয়েড আছে। ফ্ল্যাবনয়েড মুখে দূর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যকটেরিয়াকে আটকে থাকতে দেয় না এবং ধ্বংস করে ফেলে।

ফলে মুখের দূর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।