শনিবার এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে ৩২ রানে পরাজয়ের পর প্রয়োজনে দলে পরিবর্তন আনার কথা বললেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে শ্রীলঙ্কার কাছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হেরে যাওয়ার পর সতীর্থদের সতর্ক করে মুশফিক বলেছিলেন, এভাবে খেলতে থাকলে আফগানিস্তানের সঙ্গেও তাদের ভুগতে হবে।
খেলা শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সে কথা মনে করিয়ে দিলে মুশফিক বলেন, “সবাইকে মোটিভেট করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কেউ না বুঝলে কিছু করার থাকে না। যারা ভালো করছে না তাদের জায়গায় অন্যদের সুযোগ দেয়া উচিৎ।
যদি নির্বাচকরা মনে করেন আমরা যথেষ্ট ভালো নই, তাহলে অবশ্যই দলে পরিবর্তন আনা উচিৎ। ”
কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, “এভাবে হারের পরও যদি কারোর খারাপ না লাগে তাহলে তার দলেই থাকা উচিৎ নয়। ”
ইদানীং ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেলেও আফগানিস্তানের কাছে পরাজয় মুশফিকের সুদূরতম কল্পনাতেও ছিল না।
“হতাশা-লজ্জা যা-ই বলেন, কখনো ভাবিনি আফগানিস্তানের কাছে আমরা হারবো। ম্যাচের কোনো পর্যায়েই মনে হয়নি আমরা শেষ পর্যন্ত হেরে যাব।
এই টুর্নামেন্টে অন্তত এই ম্যাচটা আমরা জিততে চেয়েছিলাম। আশা ছিল কেউ না কেউ রুখে দাঁড়াবে। ”
মুশফিক মনে করেন, একাদশ ওভারে আঙ্গুলে চোট পেয়ে সোহাগ গাজীর প্রস্থানে একজন বোলার কমে যাওয়ায় ভীষণ সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাকে। ফিল্ডাররা কয়েকটি ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে কাজটা আরো কঠিন করে তুলেছেন।
“ওদের ২৩০ রানের ভেতর রাখা যেত।
২০/৩০ রান বেশি হয়েছে। ২৫০ রানও চেজ করা সম্ভব ছিল। কিন্তু পাওয়ার প্লেতে কয়েকটি উইকেট হারানোয় আমরা আর পেরে উঠিনি। নাসির বা নাঈম ভাইয়ের কেউ শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে আমরা জিততে পারতাম। ”
বিতর্কিত এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্তে বিদায় নিতে হয়েছে মুশফিককে।
তবে আম্পায়ারের সমালোচনা না করে ভাগ্যকেই দুষলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
সব শেষে মাঠের বাইরের বিতর্ক দলের খেলায় কোনো প্রভাব ফেলছে না জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা মাঠে কাজটা ঠিকভাবে করতে পারছি না। আরো দুইটা খেলা আছে। আজো অনেক মানুষ আমাদের সমর্থন জানাতে এসেছিল। দেশের মানুষের জন্য শেষ দুই ম্যাচ জেতার চেষ্টা করবো।
”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।