তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপর ডাঃ জাকির নায়েক বর্তমান সময়ের একজন অতুলনীয় ব্যক্তিত্ত্ব। এ বিষয়ে তার অতুলনীয় খেদমত মুসলমানদের একটি বড় অর্জন। একটা সময় ছিল, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপর ডাঃ জাকির নায়েকের লেকচারগুলো মুগ্ধ হয়ে শুনেছি, তাঁর পক্ষ হয়ে অনেকের সাথে বিতর্কও করেছি। বিভিন্ন ধর্মের উপর ডাঃ জাকির নায়েকের সেই আলোচনাগুলো ছিল অসাধারণ। এবং এ বিষয়ে তিনি
ইসলামের যে খেদমত করেছেন, বর্তমান সময়ে সে খেদমতের গুরুত্ব সম্পর্কে প্রত্যেকেই অবগত।
দুঃখজনক হল, বর্তমানে ডাঃ জাকির নায়েক তাঁর দাওয়াতের ক্ষেত্র ও পরিম-ল অতিক্রম করেছেন। তিনি একজন দায়ী, কিন্তু তিনি মুফতী, মুহাদ্দিস কিংবা মুফাসসির নন। যখন থেকেই তিনি তার জ্ঞানের সীমা বা পরিধি অতিক্রম করেছেন, তখন থেকেই তার থেকে অনেক অনাকাঙ্খিত ও ভুল বিষয় প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। মাসআলা-মাসাইল বা ফতোয়া প্রদানের যোগ্য না হয়ে তাঁর জন্য এ পথে অগ্রসর হওয়াটা কখনও যৌক্তিক হতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে তিনি যেহেতু মাসআলা দেয়ার যোগ্য নন, এজন্য তিনি যে সমস্ত মাসআলা দিয়ে থাকেন, এর অধিকাংশ মাসআলা মূলতঃ সালাফী বা আহলে হাদীসদের থেকে নেয়া।
বাস্তব সত্য হল, এক্ষেত্রে তিনি সালাফী বা আহলে হাদীসদের প্রতিনিনিধিত্ব করে থাকেন।
ডাঃ জাকির নায়েকের মত একজন দায়ীর পক্ষে সালাফী বা আহলে হাদীসদের পথে পা বাড়ানোর যৌক্তিকতা আমাদের নিকট অস্পষ্ট।
ডাঃ জাকির নায়েক ফিকহের বিষয়ে অভিজ্ঞ না হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ফতোয়া প্রদান করায় তিনি সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হয়েছেন। তাঁর এ সমস্ত ভুল মাসআলা সম্পর্কে অনেকেই হয়ত অবগত। ফিকহের বিষয়ে ভুল মাসআলা দেয়ার পাশাপাশি তিনি মাযহাব প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর পর্বে এবং বিশেষভাবে “ইউনিটি ইন দ্য মুসলিমউম্মাহ” শিরোনামের লেকচারে বিভিন্ন ধরণের অমূলক উক্তি করেছেন।
এ লেকচারে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাযহাবকে ইসলাম বহির্ভূত একটি বিষয় হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। -- ইজহারুল ইসলাম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।