আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হলে জবি ছাত্রদের ব্যানার পুড়িয়ে দিল ‘এলাকাবাসী’

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘দখলদার প্রভাবশালীদের ইন্ধনে’ এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও কোনো গোলযোগ ঘটেনি বলে কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ক্যাম্পাসের ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর দেড় হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে হলের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ বাংলাবাজার ওভারব্রিজের নিচে তাদের আটকে দেয়।

শতাধিক পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা আরো প্রায় আধা ঘণ্টা বিক্ষোভ করার পর আটজনের একটি প্রতিনিধি দল পুলিশের সঙ্গে গিয়ে হলের দেয়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেন।

     

শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের দিকে রওনা হওয়ার দশ মিনিটের মধ্যে এলাকাবাসী ওই ব্যানার নামিয়ে ছিঁড়ে তাতে আগুন দেয় এবং পাল্টা বিক্ষোভ শুরু করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।   

এ সময় ‘আবাসিক এলাকয় হল চাই না’ বলে শ্লোগানও শোনা যায়।

শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে ওই এলাকার মানুষ দোকান-পাট বন্ধ রেখে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

কোতোয়ালীর ওসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এলাকাবাসী এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শিক্ষার্থীরা পুলিশের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে ব্যানার লাগিয়ে এলেও পরে এলাকাবাসী তা ফেলে দিয়েছে।

তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ”

ব্যানার টাঙিয়ে ফিরে আসার পর হল উদ্ধার আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম এলাকাবাসীর উদ্দেশ্য করে বলেন,  “আপনারা যারা ভূমিদস্যুদের ইন্ধনে আমদের ব্যানার ছিড়ে ফেলেছেন, তারা শিক্ষার্থীদের প্রতি অন্যায় করেছেন। আপনারা আমাদের অভিভাবক, আমাদের ভাই। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা আমাদের সুযোগ দিন, যাতে মিলেমিশে থাকতে পারি। ”

বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ দখলে থাকা ছাত্রবাসগুলো উদ্ধারের দাবিতে চলতি মাসের শুরুতে নতুন করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার ইসলামপুর এলাকায় তিব্বত হলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ার শেলে এক শিক্ষকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিও ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলনে থাকার ঘোষণা দেয়।

পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বেদখল হয়ে যাওয়া ছাত্রহলগুলো ঘুরে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়টি ছাত্রহল ও কর্মচারী আবাস বেদখল হয়ে আছে।

পাটুয়াটুলীর ১৬ ও ১৭ নম্বর রমাকান্ত নন্দী লেনের শহীদ আজমল হোসেন হল দখল করে নব্বইয়ের দশকে পুলিশ সদস্যদের কিছু পরিবার থাকত।

এর কিছু অংশে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন সমিতি। ১৯৯৬ সালে এর একাংশ দখল করেন স্থানীয় মোশারফ হোসেন খান।

২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘বেগম রোকেয়া (শহীদ পরিবার)’ সাইনবোর্ড টানিয়ে ভবনটি দখল করা হয়। বর্তমানে এর মালিকান দাবিদার চারটি পক্ষ।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।