বাংলাদেশকে পাশে পাওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে জাপান। পুবের দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট আসিয়ানে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি চাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতির এই নেতৃস্থানীয় দেশটি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক বন্ধনে আবদ্ধ হয় সার্ক তথা সাফটাকে কেন্দ্র করে। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড় অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ দেখায় এ মুহূর্তে বিশ্ব অর্থনীতির দ্বিতীয় শক্তি চীন। বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারকে নিয়ে চীন বিসিআইএস নামের একটি অর্থনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ জোট গঠন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। চীনের এই তৎপরতা জাপানকেও সক্রিয় করেছে। তারা আসিয়ানে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে। ঢাকায় নিযুক্ত জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে বলেছেন, বাংলাদেশ চাইলে আসিয়ানের রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপের (আরকেপ) সদস্য হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে এখন এ প্রস্তাবের সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। স্মর্তব্য, আসিয়ানের ১০ সদস্য রাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে যে অংশীদারিত্ব তৈরি করেছে তা আরকেপ নামে পরিচিত। আরকেপের মাধ্যমে আসিয়ানে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো- চীন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও নিউজিল্যান্ড। আরকেপের প্রথম বৈঠক শেষে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি আধুনিক ও উচ্চ পর্যায়ের সমঝোতামূলক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব সৃষ্টির কথা বলা হয়। যার মাধ্যমে আসিয়ান সংশ্লিষ্ট দেশগুলো আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের শরিক হতে পারবে। আরকেপের চার সদস্য চীন, জাপান, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও শিল্পোৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ভারি যন্ত্রপাতি আসে এসব দেশ থেকে। এ গ্রুপটির মাধ্যমে আসিয়ানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানাভাবে লাভবান হবে। চীনের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগসহ অর্থনৈতিক জোট গঠনের পাশাপাশি আসিয়ানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়। দেশের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে তা ইতিবাচক ফল রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।