মঙ্গলবার সংসদে পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, “হাতির লাথি সহ্য করা যায়, চামচিকার ভেংচি সহ্য করা যায় না। ”
গত রোববার ঢাকায় দলের এক সভায় শেখ সেলিম বলেছিলেন,“আন্দোলনের নামে নাশকতা করলে হাত-পা কেটে ফেলা হবে। ”
তার এই হুমকির তীব্র প্রতিক্রিয়া সোমবার জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর ও যুগ্মমহাসচিব রিজভী।
গয়েশ্বর সরকারি দলের নেতাকে ‘সময়মতো সমুচিত’ জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা হুমকি-ধমকি দিয়ে জনগণকে ‘ভয়’ দেখাতে চাইছেন।
ওই দুজনের বক্তব্যের একদিন বাদে সংসদে দাঁড়িয়ে শেখ সেলিম বলেন, “আমার বক্তব্য ছিল যারা নাশকতা করে, সন্ত্রাস করে, তাদের বিরুদ্ধে। এখন দেখি ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না।
“এরা (গয়েশ্বর-রিজভী) যে কথা বলেছেন তাতে প্রমাণ হয়, এরা সন্ত্রাসীদের দল-জঙ্গির দল। ”
গয়েশ্বরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, “আমাকে বলেছে দেখে নেবে। কখন-কোথায় দেখে নেবেন, সময় দেন।
আমরা প্রস্তুত আছি। ”
“এরা দলীয় অফিস আর প্রেসক্লাবে দোকান খুলে বসেছে। মিডিয়াকে ডাকে আর ম্যাডামকে খুশি করার জন্য মিথ্যা তথ্য প্রচার করে। ”
জঙ্গিদের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে তা তদন্ত করতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান সরকারি দলের এই নেতা।
শেখ সেলিমের পর সংসদে বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “জঙ্গি আর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শেখ সেলিম সাহেব কথা বলেছেন। বিএনপির গাত্রদাহ কেন, সেটা বোঝা যায়। ”
“বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দুবাইয়ে দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করে। এখন তার অনুসারীরাই হুমকি দিচ্ছে,” বলেন তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।