ভারতের সঙ্গে আমাদের পরস্পর নির্ভরশীল সম্পর্ক থাকতে হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারত আমাদের কাছে প্রতিবেশী হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে আস্থার সংকট কারও জন্যই শুভ হবে না। দুই দেশের যে কোনো অস্থিরতা সবার জন্য হুমকি রয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান। রবিবার ইটিভিতে 'একুশের রাত' শীর্ষক টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
মঞ্জুরুল আলম পান্নার সঞ্চালনায় টকশোতে আরও অংশ নেন কল্যাণ পার্টির সভাপতি মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীরপ্রতীক, মে. জে. (অব.) আবদুর রশীদ।
তারেক শামসুর রেহমান বলেন, চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় কারা সহায়তা করেছিল সেটি বড় কথা নয়। যারাই সহায়তা করুক তা দেশের জন্য শুভ ছিল না। যে কোনো ধরনের আন্দোলন পাশর্্ববর্তী দেশের ইন্ধন দুই দেশের মধ্যেই আস্থার সংকট তৈরি করে। এ অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন নতুন নয়।
অনেক সংগঠন আছে। এটা ভারতসহ আমাদেরও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। সমঝোতা বজায় থাকলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এশিয়া এক সময় ইন্দোনেশিয়াকে হুমকি মনে করত। এখন তা নেই।
সেভেন সিস্টার স্থিতিশীল হলে বড় ধরনের সুবিধা হবে। আশিয়ানের সদস্য হতে পারলে আমাদের প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে। এ জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। ভারতকে ক্ষেপিয়ে কিছু করা যাবে না। ভারতকেও একই ধরনের মনোভাব প্রকাশ করতে হবে।
তারাও যদি আধিপত্য মনোভাব প্রকাশ করে তাহলেও সম্পর্কের অবনতি হবে। বাংলাদেশ এখন সফট পাওয়ার। ভারতের অনেক কিছু আছে আমাদের থেকে নেওয়ার। আমাদেরও অনেক কিছু নেওয়ার আছে ভারতের কাছ থেকে। দুই দেশের পরস্পর নির্ভরশীল সম্পর্ক থাকতে হবে।
তারেক শামসুর রেহমান বলেন, দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। সেখানে যে অস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল, তা অত্যাধুনিক। এ অঞ্চলে অস্ত্র চোরাচালানের একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছিল বলেই এ ঘটনায় মনে হয়। আমাদের পার্বত্য এলাকা আগে থেকেই চোরাচালানের একটি বৃহৎ পথ। এ অস্ত্রগুলো এক পর্যায়ে অন্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ত, যার জন্য আমাদেরও ঝুঁকির মুখে পড়তে হতো।
অস্ত্র চালানের আন্তর্জাতিক গ্রুপ আছে, যারা অনেক শক্তিশালী। রাষ্ট্র অনেক সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। শোনা যায়, অস্ত্রগুলো আনা হয়েছিল ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার জন্য। কিন্তু উলফার জন্য আনা হলেও তা আমাদের জন্য বড় ধরনের হুমকি ছিল। তিনি বলেন, সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, উলফার সঙ্গে ভারত সরকার সংলাপ করছে।
উলফার প্রধান রাজখোয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এটা সমাধান হবে বলে মনে হয়। উলফার সমস্যা কেটে গেলে এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আসবে, তা আমাদের জন্য অনেক সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।