বাংলাদেশ কে ভালোবাসি
বিস্তৃত ধ্যানে ঝিঁঝিঁ পোকার নির্লিপ্ততা চোখের ভাঁজে ধরা পড়ে । অগুনিত কর্কশ সব মরা পাতার ঝাঁকে ঝাঁকে জীবনের মায়াবী সুর খুঁজে মরি ! প্রখর অন্ধত্ব কিংবা ধূসর সর্বনাশের গল্পগুলো বিদঘুটে হাসিতে মেতে থাকে অদ্ভূত অলসতায় ।
ভগ্ন রাত্রির ব্যাথাতুর ছিন্ন প্রলাপ কানে বাজে হাহাকারের সপ্তসুরে । তাই আমি নষ্ট, ভ্রষ্ট এবং অর্থহীন ! ভোরের দেখা মিললেই কেঁদে উঠে ক্লান্ত পাখির দল , ধ্যানের গভীরেই অনুভূতির সাতকাহনে ঝরাপাতার শব্দেরা ভর করে সহস্র মাইল পেরোনো ডানার ব্যাক্তিগত সংঘাতে!
তপ্ত মধ্যদুপুর অলস
বিস্তৃত সংলাপ
ক্ষয়হীন সূর্যের প্রতাপ
নিঃস্তব্ধ ঝরাপাতার বেদনা!
এখানে এখন যতটা একাকী , ততটা ক্লান্ত কালপুরুষ এক নক্ষত্র প্রলাপের সাক্ষী ! সমুদ্রের মত আকাশেরও কষ্ট থাকে । আকাশেরও কষ্ট হয় , আকাশও গর্জন করে , জোছনারাও নীল হয় , চাঁদও ভেংচি কাটে ।
শহরের নগ্ন ল্যাম্পপোষ্টের দল তার তিক্ত শিকার । এইসব তীক্ষ্ণ সন্ধ্যাদের ক্লান্তি মেখে রাতভর জোছনার নীলে পুড়ে হলুদাভ আলোরা !
ফিরে আসে নদীর জলে ডুবে যাওয়া, জোছনাহারা রক্তাক্ত রাত । মাঝে শুধু বিকেলেরই কেবল দেখা মেলেনা , হয়তো বিকেলের কোন আক্ষেপ নেই বলে !
মলিন রৌদ্ররা খেলা করে
ছায়া হয় , উড়ে বেড়ায়
গান গায় , বাঁশি বাজায় !
বিকেলে তার সাথে মিশে যাওয়া , রক্তে লুকিয়ে থাকা সত্য !
স্বচ্ছ নীল , মেঘদলে উড়ে সে আসে
নিয়ম মেনেই শান্ত জলে ডুব দেই
তার ঘ্রাণে মুখ লুকাই ।
বাক্সবন্দী দুঃখদের ছুটির ঘন্টা বাজাই !
আমার বিকেল
শুধুই সে
সে আসে নির্ঘুম রাতের ক্লান্তি উড়িয়ে দিতে লু হাওয়া হয়ে , ঝড়ের অগ্রভাগে প্রণয় হয়ে , ক্লান্ত ভোরে পাখিদের ডানার মেঘদূত হতে , তপ্ত দুপুরের ছায়া হতে ।
সে থাকে
নক্ষত্রবীথিতে
সে থাকে উড়ন্ত মাছের পাখনায়।
এসেছিল কোন বিকেলে
আমার মাঝরাতের জোছনার আলো হতে !
তাই বিকেলের কোন আক্ষেপ নেই , মহাজাগতিক বিষাদ প্রহরী কালপুরুষ কিংবা তার সঙ্গীদের কখনো বিকেল হবেনা !
বিকেল যে সে !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।