আধা-নরমাল জগতের বসবাসকারী পরজীবি আজীব জীব
ঘটনা এক — ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে সারাদিনই দুর্বল লাগছিল। সন্ধ্যায় এসে দেখি সেটা মাত্রাতিরিক্ত আকার ধারণ করল। একটা ওরস্যালাইন আম্মি বানায় দিল। সেটা খেয়ে হাটতে বের হলাম। আকতারুজ্জামান সেন্টারের নিচে একটা কোণায় দাঁড়ায়া হুদাই ৫ টাকার চনাবুট কিনে জাবর কাটছিলাম।
কিসমত এতই খারাপ, আমি পরপর দুইটা খালাম্মা টাইপ মহিলা আর একটা হেজাবি তরুণীর পায়ের নিচে পরলাম। সবাইরে আমিই সরি বলেছি।
মানুষ এমনিতেই আমার গরুর মত ঠ্যাং গুলারে দেখতে পারে না। যেইখানে যাই মাইনুষের পায়ের নিচে পরি। একবার শুধু একজন একাই আমারে তিনবার ঠ্যাংগের নিচে নিয়া কচলাইছে।
পারা খাওয়ার পরে, আমার গরুর মত পা গুলারে দেখতে সেই লেভেলের লাগে ...
ঘটনা দুই — হোটেল সেন্ট মার্টিনের সামনে ৫০০ টাকার এক কচকচা নোট পাইলাম। এই টাকা জিনিসটা আমার হাতে অনেক সহজেই আসে, কিন্তু তার চেয়ে অনেক দ্রুত হাত থেকে চলেও যায়। ভাবলাম, এইটা দিয়া আজগুবি কিছু করা যায়। ৫০০ টাকার ঝালমুড়ি খাওয়া যাইতো Rafsan থাকলে।
হঠাৎ হুদাই আমার মায়া মমতার লেভেল বেড়ে গেল।
ভাবলাম কোনো ফকিন্নি খোঁজা দরকার। ফকির, ফকিন্নি বা ফকিন্নির পুত যারেই পাই তারে বিশেষ এক সারপ্রাইজ দিব। সিলভার স্পুনের একটু সামনেই এক পাটকাঠির মত চিকনা এক মাঝবয়সী অন্ধ ফকিন্নির পোলারে পাইলাম। তার কোনো এসিস্ট্যান্টও নাই। সে কেমনে যে নিজেরে ড্রাইভ করতেসে আলেমে গায়েবই ভাল জানেন।
তারে কইলাম, ভাই এই ধর তোমারে হুদাই ৫০০ টাকা দিলাম।
এইটা বলার সময় তার চোখের দিকে খেয়াল রাখলাম, ফকিন্নির পোলা তার থালার দিকে তাকায় কিনা দেখার জন্য। নাহ, ফকিন্নির পোলা পুরা ভ্যাম্পায়ারের মত চোখ নিয়া উপরে বাত্তি একটার দিকে তাকায় আছে। ৫০০ টাকা দিছি শুইনা তার চেহারায় একটা ভকচোদ ভাব আসছে ঠিকই। কিন্তু বেচারা সত্যই জেনুইন কানা।
আমারে একটা হৃদয়বিদারক হাসি দিয়া কইল, আল্লায় নাকি আমারে এই দিব সেই দিব... হ্যাং করেগা ত্যাং করেগা, মাথায় মুগুর লাঠিমে আঙ্গুল মারেগা।
ফকিন্নিদের লগে একটার বেশি দুইটা কথা কওয়া উচিত না, এরা তামশা বেশি করে। তাড়াতাড়ি মজা নিয়া চইলা আসলাম। মাইনষের টাকা দিয়াতো বেচারারে খুশ করায় দিলাম।
বেচারার হাসিটা জেনুইন ছিল।
নিজেই এই জেনুইন হাসি কখন দিসি, ভুইলা গেসি।
ঘটনা তিন — বাংলাদেশ আবারো অল্পের জন্য হাইরা গেল। এইটা পুরাই মেরাকল অফ বেধাতা অর ন্যাচার। ভালো খেলার পরেও যে হারা সম্ভব এইটা কেবল আমরাই দেখাইতে পারি।
ঘটনা চার — এই দুর্বল অবস্থা নিয়া একটা ভয়ানক মারপিট হল।
কিন্তু কেউই মাইর খাই নাই। আমরা কেউই কাউরে ইমোশনের কারণে মারতে পারিনাই। কিন্তু ধাক্কা খাইয়া আমার বাম হাতের পেছনে বিশেষ একটু চোট পেলাম। আর যে আমাদের থামানোর জন্য আসছে তার হাটুতে চোট পেল। তবে এখন আমরা উভয়পক্ষই আবার ভাল হয়ে গেছি।
আমার ব্রেইন এখন বেশিক্ষণ গরম থাকেনা। আলহামদুলিল্লাহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।