এক/এগারোর পর দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার দায়ে তিরস্কৃতদের অনেককে ক্ষমা করে দলে পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর বলেন, তারেক রহমান তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন শক্তিশালী করেছিলেন বলেই এক/এগারোর পর দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিহত হয়েছিল।
“ওই সময়ে তিরস্কৃতদের অনেককে দলে এখন পুরস্কৃত করা হচ্ছে। বিএনপির এটা একটি দুর্বলতা যে, আমরা অপরাধীকে শুধু ক্ষমাই করি না, পুরস্কৃত করি। এতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মনে ব্যথা পায়।
দলের ভেতরে বিভিন্ন কৌশল নিয়ে থাকা ‘মীর জাফরদের’ ব্যাপারে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৮ম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের উদ্যোগে ‘১/১১ প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ বিষয়ে এই আলোচনা সভা হয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, “এক/এগারোর পর ৭ মার্চ ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্রের দিন। ওই দিনে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জাতীয়তাবাদী শক্তির ধারক জিয়াউর রহমানের আদর্শের অনুসরণে তারেক দলকে সংগঠিত করেছিল বলেই এক/এগারোর ষড়যন্ত্রকারীরা নির্যাতন চালিয়ে তাকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
ওই সময়ে দলের সংস্কারপন্থিদের প্রতি ইঙ্গিত করে গয়েশ্বর বলেন, “এরা অনেকে পুরস্কৃত হয়েছেন। এক/এগারোতে যেভাবে তারেক রহমানকে পঙ্গু করা হয়েছে, ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গোটা দেশ ও গণতন্ত্রকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
“এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে বন্দি বাংলাদেশকে উদ্ধার করতে হবে। লড়াইটা হবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য।
”
বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে পঙ্গু করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, জনগণই ক্ষমতার উৎস। এখন শেখ হাসিনা মনে করে, ভারতই ক্ষমতার উৎস।
“৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়নি। তারপরই ৫ ভাগের কথিত ভোটে তারাই (ভারত সমর্থিত) সরকারে। ”
তার এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করীম সেলিমকে কথা বলতে দেয়ায় স্পিকারকে ‘নাবালক’ বলেন গয়েশ্বর।
তিনি বলেন, “একজনের অনুপস্থিতিতে যেভাবে সংসদে একজন সংসদ সদস্য আমার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার ও ঘেউ ঘেউ করলেন এবং আমার বিরুদ্ধে খিস্তি খেউর করা হল, তা নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।
“আমার বক্তব্য হচ্ছে- একজন নাবালক স্পিকার কিভাবে এই পয়েন্ট অব অর্ডারে তাকে বক্তব্য দিতে অনুমতি দিলেন, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। তিনি সাবালক হলে পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্য দিতেন না। ”
“তবে এটা ঠিক, ওই সংসদ সদস্য আমার বক্তব্য বুঝতে পেরেছেন। তাকে বলব, আওয়ামী পুলিশ বাদ দিয়ে আপনি রাস্তায় নামুন।
তাহলে বিএনপি নয়, জনগণই এর জবাব দেবে। ’’
সংগঠনের উপদেষ্টা এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, ১৯ দলীয় জোট নেতা মাওলানা আবদুল করীম ও মাওলানা শোয়েব আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।