সব সময় চোখে ভাসে আমার প্রাণ প্রিয় মাতৃভূমির মাটি ও মানুষের হাস্যজ্জল মুখচ্ছবি।
দুজন গল্পে বিভোর , হাসাহাসির মাত্রা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে রাস্তায় রেড সিগনাল চোখেই পরেনি। বাম দিক থেকে গাড়ি আসতেই আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলছি। মনে হলো সামান্য ঝাকি খেলাম। চোখ খুলে দেখি সব ঠিক আছে।
আমাদের গাড়ি আইলান্ডে সামান্য ধাক্কা খেয়ে উল্টা রাস্তায় চলছে। আমাদের আজ সবমিলিয়ে প্রায় ৫০০ কি. মি. পথ পাড়ি দিতে হবে, প্রথমেই ছোটো অঘটন আমাদের আরো সাবধানী হওয়ার বার্তা দিল।
আমার নেপালি বন্ধুর ("জে") সাথে পাহাড় দেখার জন্য দুবাই থেকে শারজাহ হয়ে ফুজাইরাহ যাচ্ছি। জে গাড়ি চালাচ্ছে আমি পাশের ছিটে বসে আছি। ফুজাইরাহ ইউ এ ই সাত স্টেটের একটি।
বিস্তৃর্ন এলাকা জুড়ে লাল বালি আর উচুনিচু রাস্তার মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে মন। মাঝে মাঝে কিছু কিছু উট দেখতে পাচ্ছি। রাস্তার দু পাশে নেট দিয়ে ঘেরা যেন উটগুলো হঠাৎ করে রাস্তায় চলে না আসে। গাড়ি চলছে ১২০ কি. মি. বেগে, আমি গাড়ি থেকে ছবি নিচ্ছি।
[দুইটা উট ঘাস খাচ্ছে]
[লাল বালির মরুভূমি যতদূর চোখ যায়]
[লাল বালির মরুভূমি যতদূর চোখ যায়]
[রোড ভিউ গাড়ি থেকে নেয়া]
[লাল বালির মরুভূমি যতদূর চোখ যায়]
[লাল বালির মরুভূমি যতদূর চোখ যায়]
যাওয়ার পথে অস্থায়ী দোকানে কিছু কিনব বলে যাচ্ছি।
দোকানের সেলসম্যান ম্যাডাম ম্যাডাম করে হাত উচিয়ে দৌড়াচ্ছে। ম্যাডাম গাড়ি পার্কিং থেকে গাড়ি বের করে আস্তে চলা শুরু করছে। দোকানে কেও নাই, আমরা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছি। বেশ কিছুদুর যেয়ে ম্যাডাম গাড়ি থামালো। হাপাতে হাপাতে সেলসম্যান এসে বলল ম্যাডাম ৮০ দিরহাম ফেরত নিতে ভুলে গেছে।
কথা প্রসঙ্গে জানলাম সেলসম্যান বাংলাদেশী , নাম আব্দুর রশিদ। মাঝে মাঝে অনেক ছোট ছোট ঘটনা অনেক বড় ভাবনায় ফেলে দেয়......কে বলে আমরা সৎ না ??? স্যালুট আব্দুর রশিদ!!
[ছবিতে আব্দুর রশিদ]
যতই আগাচ্ছি রাস্তার দুধারে সারি সারি বুড়া পাহাড় ন্যাড়া মাথায় দাড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে আকর্ষণ ক্ষমতা অনেক আগেই হারিয়েছে। সবুজের কোনো দেখা নাই। জে বলছে তুমি যদি আমাদের দেশে যাও তাহলে দেখতে পাবে পাহাড় কত সুন্দর হতে পারে।
[বেশ আগে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বপ্নরাজ্য নীলগিরি যেয়ে দেখেছিলাম আকাশ পাহাড়ের মিতালী, হাত বাড়ালেই ছুয়ে দেয়া যায় মেঘ বালিকা। আকাশ বাতাস সবুজ আর মেঘের দল লুটোপুটি খায় একসাথে। ] গাড়ি থেকে নামতে ইচ্ছা করছে না। উচু নিচু পথ বেয়ে ছুটে চলছি। পাহাড় কেটে, মাঝে মাঝে সমুদ্রের গা ধরে, সে এক অনুপম রাস্তা।
[ন্যাড়া মাথার বুড়া পাহাড় ডাকছে না হাতছানি দিয়ে আমায়]
[ন্যাড়া মাথার বুড়া পাহাড় ডাকছে না হাতছানি দিয়ে আমায়]
[ন্যাড়া মাথার বুড়া পাহাড় ডাকছে না হাতছানি দিয়ে আমায়]
[পাহাড়ের চুড়ায় লাভ চিহ্ন এঁকে ইউ এ ইর পতাকা। অনেক যায়গায় এরকম দৃশ্য চোখে পড়ল]
[৩০ থেকে ৪০ বছর আগের আমিরাতিদের বাড়ি ঘর]
[এখনকার আমিরাতিদের বাড়ি ঘর]
[ন্যাড়া মাথার বুড়া পাহাড় ডাকছে না হাতছানি দিয়ে আমায়]
[ফুজাইরাহ শহর থেকে পাহাড়ের দৃশ্য]
[ফুজাইরাহ শহর থেকে পাহাড়ের দৃশ্য]
[ন্যাড়া মাথার বুড়া পাহাড় ডাকছে না হাতছানি দিয়ে আমায়]
[ন্যাড়া মাথার বুড়া পাহাড় ডাকছে না হাতছানি দিয়ে আমায়]
[ন্যাড়া মাথার বুড়া পাহাড় ডাকছে না হাতছানি দিয়ে আমায়]
[পাহাড়ের কোল ঘেঁসে সমুদ্র ]
[পাহাড়ের কোল ঘেঁসে সমুদ্র ]
[নীলাভ সমুদ্র ]
আমরা পৌছিয়েছি Khor Fakkan সমূদ্র পোর্টে। সুউচ্চ বুড়া পাহাড় গুলোর কোল ঘেসে বিশাল সমুদ্রের কল্লোলিত তরঙ্গ সংকুল, গর্জন করে ধেয়ে আসা সাগরের ঢেউয়ের সাথে পাথরের লুকোচুরি দেখতে বেশ মজাই পাচ্ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।