mail.aronno@gmail.com
নগ্নতার সাক্ষী মেনে চারিদিকেই উড়ছে পতাকা
দোকানে দোকানে রাখা হয়েছে মানবিকতা আর ভরপেট কুকুরেরা হয়ে উঠছে সজাগ
সামাজিক প্রাণী অথবা রাষ্ট্রীয় বোধ
কোনো দিকেই ভারী হয়ে উঠে না হৃদয়
কেবল মিছিলের শব্দ ঘুম ভাঙিয়ে দেয় আর পথচারীর আক্ষেপ
পুরোনো ছায়ার মতোই হয়ে উঠে দুর্লভ
প্রাচীরের এ পারে চলে এসেছি, আচমকা
চারিদিকের অনুর্বর জমিতে গাছ লাগিয়ে বসে আছি অপেক্ষায়
হঠাৎ জেগে উঠা মৃত্যু-চিন্তা অথবা কামনার পর
সমকামিতা কিংবা ধর্ষণ আমাদের থেকে দূরে সরে যায় না আর
সব কিছু পুনরায় দ্রুত সরে যায় পেছনে
সমস্ত আগামীকে মনে হয় গর্ভ-দোষ
নিজেরই ভেতরে জাপটে ধরি নিজেকে
আর ব্যথায় কেঁপে উঠে বুক
ঘরে থেকে বেরুতে পারি না বলেই আকাশের ব্যবধান কমেছে অনেক
খাদ্য কিংবা হৃদয়ের শোক দুই-ই পড়ে থাকে টেবিলে
ভুল করে ফিরে এলে বাতাস, তাকে বলি
আমিই সেই নষ্ট শিশু, যার মা তাকে হত্যা করতে গিয়ে করেছিল করুণা
কিংবা আমিই সেই নোংরা বালক, সমাজ যাকে আটকে রেখেছিল কবরে
কিংবা আমিই সেই নষ্ট মানুষ
যার ত্বকে অমানবিক দুর্গন্ধ আর কুকুরের নির্লজ্জতা
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছি প্রতিদিন অথচ দামী গাড়িরা হয়ে উঠছে শক্তিশালী
হৃদয়, ঘুম অথবা সীমানায়
চিরকালীন এক নারীর কল্পনা করা ছাড়া মানুষ কীভাবে পায় পূর্ণতা
অথচ আমার জন্মদাতাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হলো না কেন
এই প্রশ্ন এখন ততটাই অবাঞ্ছিত, যেমন মৈথুনের পর বীর্য-শোক গড়িয়ে যায় একপাশে
শীতকাল আসার পূর্বেই ত্বক বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠি
বাসি মাংস নিয়ে বসে থাকা দোকানিকে মনে হয় ঈশ্বর
কিংবা পথের পাশে শুয়ে থাকা পৌঢ়া রমনীকে রূপসী
একটি পিয়ন মারা গেলে আমার অসহায়তা তাই ঠিাকানাহীন চিঠির ন্যায় নির্বিকার
দোহায় দিয়ে ফিরে ফিরে আসি
দোহায় দিয়েই সব মোড় পেরিয়ে মূল রাস্তায় এসে দাঁড়াই
আত্মহত্যা, তুমি তখনও ঘুমিয়ে থাকো পকেট, ব্যাগ অথবা খাতার পাতায়
মহোত্তর সংজ্ঞা আবারও ভুলে যাই
প্রিয়তমা, তোমাকে উদ্দেশ্য করে কিছুই বলতে চাই না আর
অন্ধের মতো পথ চলতে চলতে আমার কামনা
হয়ে উঠেছে আনাড়ি
মাথা থেকে প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে একটি একটি নাম
‘খুনী’ অথবা ‘ভাল মানুষ’, এইভাবে ভাবতে পারা হয়ে উঠে ভয়ংকর
ঋতু বদলে গেলে হৃদয় কি পারে ফিরে পেতে উজ্জ্বল ত্বক
সমস্ত প্রশ্নই বিপরীত হয়ে উঠছে দ্রুত
সমস্ত সত্বাই ডুবে যাচ্ছে জলে
সাঁতার দিয়ে এগিয়ে যাবার মানে এই, জল থেকে ফিরে এসে
জলেই ডুবে গেলাম আবার
ওহ প্রতিপালক, তোমার জন্য মুদ্রা নিক্ষেপ করেছি শূন্যে
‘মস্তক’ অথবা ‘পুচ্ছ’ এ দিয়েই নির্ধারিত হবে পরকাল
অথচ তোমাকে না দেখার জন্য সমস্ত শৈশব নিজেকে রেখেছিলাম অন্ধ
কিন্তু, সূর্যময় সকাল কিংবা আলোকিত রাত আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল পথ
তারপর আর ফেরা হয়নি আকাশে
মাটির গন্ধ এতটাই মিশেছে শিরা-উপশিরায়
চাইলেও ফেরাতে পারব না আর সেই দাগহীন মায়াবী শরীর
তাই তোমাকে নির্ধারণের পূর্বে ফাঁসিতে ঝোলালাম, আর নিজেকে বললাম
আমিই সেই নষ্ট বালক
যে ময়লা-আবর্জনা আর নগ্নতার ভেতর উড়িয়েছে সুবিশাল নীল-পতাকা
বিধাতার
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।