আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাই কোর্টে সাংবাদিক-আইনজীবী হট্টগোল

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক সুলাইমান নিলয় জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার পর বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের বেঞ্চের কার্যক্রম শুরুর সময় আদালতে দাঁড়ানো নিয়ে কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে সাংবাদিকদের বাক-বিতণ্ডা হয়।  

আইনজীবীরা মক্কেল মনে করে সাংবাদিকদের আদালত কক্ষ থেকে সরে যেতে বললে সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে ব্যাপক হৈ চৈ ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি সালেহ উদ্দিনসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা এ সময় বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও হট্টগোল চলতে থাকে।   এক পর্যায়ে বিচারক এজলাস থেকে নেমে যান।

পরে পুলিশ এসে আদালত কক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বের করে দিয়ে কক্ষের দড়জা বন্ধ করে দেয়।

এরপর আইনজীবীরা আদালতের বারান্দায় এক পাশে সরে দাঁড়ালেও সাংবাদিক ও আইনজীবীদের কর্মচারীদের মধ্যে হট্টগোল চলে বলে জানান নিলয়।

আদালত অবমাননার অভিযোগে তলব করা ছয় সাংবাদিকের বিষয়ে এ আদালতেই শুনানি হওয়ার কথা। ওই শুনানির খবর সংগ্রহ করতেই সাংবাদিকরা সকালে আদালতে উপস্থিত হন।  

দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত দুটি লেখা নিয়ে সম্প্রতি পত্রিকাটির যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানকে তলব করে হাই কোর্টের এই বেঞ্চ।

তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে শুনানিতে গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে কথা বলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবদিক সমিতি ও বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতি আলাদা বিবৃতি দিলে দৈনিক সমকাল ও নয়া দিগন্ত তা প্রকাশ করে। পরদিন রোকন উদ্দিন ওই দুটি পত্রিকার প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে বিচারক আদালত অবমাননার রুল দেন।

সমকাল ও নয়া দিগন্তের সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে।

পাশাপাশি বিবৃতি দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান; বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এম এম জসিম ও সেক্রেটারি সাদ্দাম হোসেন; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কাজী মোবারক হোসেন ও সেক্রেটারি এম সুজাউল ইসলামকে বুধবার আদালতে হাজির হতে বলা হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।