আগামী ১৬ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিসিবি আয়োজিত জমকালো কনসার্টে এ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ‘উদ্বোধনের’ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটাররা ঢাকার যেসব সড়কে চলাচল করবেন তার প্রায় সবগুলোকেই সাজানো হয়েছে আলোকসজ্জায়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিজয় সরণী হয়ে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম পর্যন্ত সাজ সাজ রব।
ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার মোড় এবং রূপসী বাংলা হোটেল এলাকার সড়কদ্বীপের স্থাপনাগুলোও নানা রঙের আলোকসজ্জায় সেজেছে।
বুধবার রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় সড়কে রংয়ের মেলা, বিদ্যুতের খুঁটিতে রঙিন বাতি।
বিজয় সরণী মোড় ঘুরতেই চোখে পড়বে রঙিন ঢাকার চিত্র- নদীমাতৃক বাংলার নৌকা, পল্লীর কুঁড়ে ঘর, ঢাকার ঐতিহ্য রিকশা- সবই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রঙিন বাতির আলোয়।
রাজপথে মোটরগাড়ী, শিল্প এলাকার চিত্র- কোনো কিছুই বাদ যায়নি, যেন একপলকে পুরো বাংলাদেশকে দেখা নেয়ার সুযোগ।
বাংলাদেশের সমাজ, প্রকৃতি ও অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মিরপুর অঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি।
বাকিটা দর্শকদের মূল্যায়ন। ”
তবে এ উপলক্ষে রাজধানীর সড়কদ্বীপ ও সড়ক বিভাজকে সৌন্দর্য বর্ধনের অংশ হিসেবে ইট-কংক্রিটের দেয়াল তৈরি করে তা টাইলস দিয়ে যেভাবে ঢেকে দেয়া হয়েছে তাকে ‘রুচিহীন ও দৃষ্টিকটূ’ বলে সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউট।
রাতের ঢাকায় চলার পথে আলোর রোশনাইতে চমক থাকলেও সবাই ‘আসল’ আলোর ঝলকানি দেখতে চান ক্রিকেটারদের কাছ থেকে- মাঠে।
শুধু আলোকচ্ছটা দেখতেই নাকি রাতে ডিউটি নিয়েছেন পুলিশের উপপরিদর্শক নাঈমুল। তবে অনেকের মতো তারও আশা ‘ক্রিকেটাররা যদি মাঠে আলো ছড়াতে পারতেন’।
“রাতে ডিউটি নিয়েছি লাইটিং দেখার জন্য। ভাল লাগছে। আরো ভাল লাগতো যদি আমাদের খেলোয়াড়রাও তাদের খেলায় জ্বলে উঠতে পারতো। ”
রাত সাড়ে ১১টায় রূপসী বাংলা হোটেলের সামনে কথা হয় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এফসিপিএস অধ্যায়নরত হ্যারি চক্রবর্তীর সঙ্গে।
মৃনাল হকের ‘রাজসিক’-এর আলোক ঝলকানি দেখে উচ্ছ্বসিত তিনি।
রূপসী বাংলা হোটেলের সামনের সড়কদ্বীপে মুঘল আমলে ঢাকায় ঘোড়ার গাড়ী ব্যবহারের চিত্রটি শিল্পী ফুটিয়ে তুলেছেন ভাস্কর্যের মাধ্যমে, যা ‘রাজসিক’ নামে খ্যাত।
আলোর ঝলকানিতে মুগ্ধতা থাকলেও সর্বশেষ দুটি সিরিজে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের খেলায় মনোকষ্ট ঘুচছে না ক্রিকেটপ্রেমী হ্যারির।
“হঠাৎ কি যে হলো ওদের। এখন তো ওরা সাধারণ দল না। ওদের মনে রাখা উচিত দেশের মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে,” বলেন তিনি।
তবে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ‘আর দেশের মানুষকে না কাঁদানোর’ প্রতিশ্রুতির ওপর ভরসা করছেন তিনি।
“আমার বিশ্বাস মুশফিক- সাকিব- তামিম- নাসিররা এবার কথা রাখবে। আমরা এবার আনন্দে ভাসবো। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।