নিজ দেশ নরওয়েতে দীর্ঘকাল অবহেলিত ছিলেন চিত্রশিল্পী এডভার্ড মুংখ। কিন্তু তাঁর সার্ধশত জন্মবার্ষিকী বিশেষভাবে উদ্যাপনের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। রাজধানী অসলোয় আয়োজন করা হয়েছে ‘মুংখ ওয়ান ফিফটি’ শীর্ষক এক চিত্র প্রদর্শনী।
আজ রোববার থেকে প্রদর্শনীটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে শিল্পীর দীর্ঘ কর্মজীবন তুলে ধরা হয়েছে।
মুংখ নরওয়ের উনিশ শতকের সেরা শিল্পীদের একজন। ‘দ্য স্ক্রিম’, ‘ম্যাডোনা’, ‘ভ্যাম্পায়ার’ ও ‘দ্য ড্যান্স অব লাইফ’ প্রভৃতি চিত্রকর্ম তাঁকে বিখ্যাত করেছে। প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে শিল্পীর প্রথম জীবন থেকে শুরু করে মৃত্যুর (১৯৪৪ সালে) আগ পর্যন্ত যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ চিত্রকর্ম।
অসলোর ন্যাশনাল গ্যালারির পরিচালক অডান একহফ বলেন, মুংখের চিত্রকর্ম নিয়ে আগে অনেক প্রদর্শনী হয়েছে। কিন্তু সেগুলোর উপজীব্য ছিল কেবল একটিমাত্র বিষয়।
এবারের প্রদর্শনীতে ২৭০টি চিত্রকর্মের মাধ্যমে শিল্পীর কাজের ক্ষেত্র ও ক্রমবিকাশ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হবে।
ন্যাশনাল গ্যালারির প্রদর্শনীতে মুংখের ১৮৮২ থেকে ১৯০৩ পর্যন্ত আঁকা ছবি রাখা হবে। এ ছাড়া মুংখ মিউজিয়ামে আরেকটি ভিন্ন প্রদর্শনীতে শিল্পীর জীবনের শেষ ৪০ বছরকে তুলে ধরা হবে।
নাৎসিদের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য নিজের সব শিল্পকর্ম ১৯৪০ সালের এপ্রিলে অসলো নগর কর্তৃপক্ষকে দিয়ে গিয়েছিলেন মুংখ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এসব ছবি নরওয়ের প্রত্যন্ত এক এলাকায় বস্তাবন্দী হয়ে পড়ে ছিল।
‘দ্য স্ক্রিম’ ছবিটির দুটি পৃথক সংস্করণ চুরিও হয়ে যায়। তবে তা পরে উদ্ধার করা হয়। তবে এবারের প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে এ অবহেলার অবসান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মুংখের শিল্পকর্মের জন্য অনেক দেরিতে হলেও একটি স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করেছে অসলো কর্তৃপক্ষ। ২০১৮ সালে এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এএফপি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।