রহস্য
শিরোনাম দেখেই চমকে উঠলেন, তাই না? ভাবছেন- “আহ! সত্যিই যদি এমনটা হতো...”। অনেকে হয়তো ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের ‘টুকি ও ঝায়ের দুঃসাহসিক অভিযান’ বইটির সেই হীরক গ্রহটির কথাও ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন। আর University Of California, Berkeley-এর একদল গবেষক দেখিয়েছেন যে কেবল গল্পের বইয়ের পাতায় না, বরং বাস্তবেও এটি সম্ভব! আমাদের সৌর জগতের দুই সদস্য ইউরেনাস আর নেপচুনে হীরক দানা বৃষ্টির মত মাটিতে পড়ে! কিন্তু কেন এমনটা হয়?
এ প্রশ্নটির উত্তর পেতে তারা একটি পরীক্ষা করেন যাতে তরল মিথেনের উপর কয়েক হাজার বায়ুমন্ডলীয় চাপ প্রয়োগ করা হয়। এরপর এই মিথেনের উপর শক্তিশালী লেজার রশ্মি প্রয়োগ করা হয় । ফলে তাপমাত্রা প্রায় ৫০০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট এ পৌঁছায় ।
পরীক্ষার ফলাফল হিসাবে তারা হীরক খণ্ডের ধুলি দেখতে পান ।
আর ঠিক এমন কাহিনীই ঘটে ইউরেনাস আর নেপচুনে। গ্রহ দুটিতে মিথেনের পরিমান বেশি থাকায় উচ্চ চাপে তা হীরক এ পরিনত হয় এবং হীরক খন্ড বৃষ্টি হিসেবে মাটিতে পড়ে। আমরা জানি, উচ্চ চাপে পৃথিবীর অভ্যন্তরে কার্বন হীরকে পরিনত হয় । কিন্তু গ্রহের বায়ুমণ্ডলেও যে মিথেনের এরকম রুপান্তর সম্ভব তা আমাদের জানা ছিল না।
গবেষক দলটির এক সদস্য র্যামন্ড জিয়ানলয বলেন- “যেহেতু পরীক্ষাগারে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অনুরুপ পরিবেশ তৈরি সম্ভব, তাই গ্রহগুলো এবং বাদামী বামন তারার অভ্যন্তরেvoid(0); কোন ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে তা জানার ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাটি এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে”। তবে আরেক গবেষক বেনেদেত্তি বলেন- “এরকমও হতে পারে যে আমরা যেরvoid(0);কম ধারণা করছি গ্রহগুলোর গঠন এর চাইতেও জটিল”। বিজ্ঞানীরা আশা করেন এ ধরণের আবিষ্কার সেসব গ্রহগুলোর অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক ক্রিয়া সম্পর্কে ধারনা দিবে যেগুলোর কক্ষপথ তাদের আশেপাশের নক্ষত্রগুলোর তুলনায় অস্বাভাবিক।
কে জানে? সামনের দিনগুলোতে মহাকাশ ভ্রমণ প্রযুক্তির আরো উন্নতি হলে হয়তো এসব গ্রহ থেকে হীরা সংগ্রহ করতে ব্যবসায়ীদের মাঝে কাড়াকাড়ি লেগে যাবে!
ঊ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।