বাঙ্গালী জাতি আর কিছু পারুক বা না পারুক দিবস প্রেমে তারা মাতুয়ারা। সেটা দেশীয় হলেতো ভালো আর আর্ন্তজাতিক হলেতো ভালোর উপর ভালো। দেশীয় দিবসের মধ্যে ২১ শে ফ্রেব্রুয়ারী,১৬ ডিসেম্বর,২৬ শে মার্চ এর মত স্বরণীয় দিনগুলোতে মায়া কান্না দেখানোর মত লোকের অভাব নেই বললেই চলে। পুরু দেশ জুরেই চেতনার ছড়াছড়ি। এটা খরাপ কিছু ছিল না যদি অন্তত ২০% লোক তা লালন করতো।
যেমন পহেলা বৈশাখে অনেকেই নিজের বাঙ্গালীত্ব বৈধ করেন বাঙ্গালী সেঁজে। দিবসী পুরুষরা সেই গ্রামের কৃষকের গামছা,লুঙ্গি,হাতের কাঁচি,মাথার ছাতা,নারীরা শাড়ী পরে,কলসী কাখে নিয়ে,পানতা ইলিশ খেয়ে, হয়তো একদিনের জন্য বাংলা মায়ের ঋণ শোধ করেন। যদিও বছরের বাকী দিনগুলোতে অধিকাংশ মানুষ হিন্দুস্তানী অথবা পাকিস্তানী সেঁজে থাকতেই সম্মানবোধ করি।
লালন ,হাসন,রবী ঠাকুর,নজরুল,করিমের ভক্তের তুলনায় যদি হাজার গুন বেশী ভক্ত এ.আর. রহমান,আতিফ আসলাম, জাবেদ আলী, উদিত নারায়ণ ,নিতেন মোহনের মত লোকের হয় তাহলে এতটা অবাক হতাম না যতটা অবাক হলাম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আয়োজন দেখে। বাংলাদেশ এটার আয়োজন করেছে তা এখনো মানতে পারতেছি না।
রবী ঠাকুর,নজরুল,লালন ,হাসন,করিমের গান বিশেষ কয়েকটা দিবস ব্যাতীত শুনতে খারাপ লাগে। আতিফ আসলাম ,এ আর রহমান, উদিত নারায়ণ , নিতেন মোহনের গান শুনলে যেই রকম চেতনার দন্ড খাড়া হয় উনাদের গান শুনেতো তা হয় না তাই উনাদের গান শুনবো গাইবো তবে তা নিশি রাতে যেন কেউ জানতে না পারে। আর কেউ জেনে গেলেতো লজ্জায় আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নাই।
আমরা সেই বাঙ্গালী যাদের আব্দুর রহমান বয়াতীকে একটু সুচিকিৎসার জন্য মানুষের ধারে ধারে ভিক্ষা করতে হয়েছে কিন্তু আমরা গর্বিত শাহরুখ খানের মত হিরুকে নিজ দেশে আনতে পেরে এবং লক্ষ লক্ষ টাকা থাকে দিতে পেরে আমরা জাতি হিসাবে ধন্য।
আমরা সেই বাঙ্গালী যাদের বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম টাকার অভাবে প্রিয়তমা স্ত্রীরীর চিকিৎসা করাতে পারেন নাই।
ভালো মন্দ কিছু নিজে খাওয়ার ইচ্ছা হলেও সেই সৌভাগ্য হয় নাই অর্থের অভাবে।
গানের জন্য সমাজ থেকে বহিঃস্কৃত হতে হয়েছে অথচ মৃত্যুকালে আক্ষেপ করে বলতে হয়েছে জীবিত করীম কিছুই পায় নাই কিন্তু মৃত করিমের লাশ এমনকি হাড্ডি নিয়েও ব্যাবসা হবে।
তবে তাতে কি আমরা গর্বিত বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্টানে মাইলস এর মত ব্যান্ডকে উচিত মূল্য দিতে পেরে। আমরা দর্শক হিসাবে গর্বিত আমরা গান শুনেছি আর হাততালী ভালোবাসা জমিয়ে রেখেছি এ আর রহমানের জন্য। আমরা গর্বিত কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিনদেশী সংস্কৃতির সুন্দর উপস্থাপন এবং তা আমাদের দেশের প্রতিটি কোনায় কোনায় সফলভাবে পৌঁছে দিতে পেরেছি।
আমার আইয়ুব বাচ্চুর গান ভাল লাগে না,আমারভালো লাগে এ আর রহমান ,আমার ডঃ ইউনুস ভালো লাগে না,আমারভালো লাগে আমত্য সেন!!আমার সাকিব আল হাসান ভালো লাগে না,আমার ভালো লাগে টেন্ডুলকার...আমার রহমান বয়াতি মরলে খবরথাকে না,আমার মান্না দে মরলে খবর থাকে...আমি বাংলায় হাসি,বাংলায় গাই,বাংলায় করি উল্লাস শুধু একদিন গাই,আর প্রতিদিন গুনগুন করি....মা তুজে সালাম, বান্দে মাতারাম!!
টি-টোয়েন্টির আয়োজক হলো বাংলাদেশ, স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশের শিল্পীরাই অগ্রাধিকারের মধ্যে দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালিত হবার কথা, আমাদের দেশের জাতীয় সঙ্গীত এবং দেশত্ববদক গান দিয়ে সর্বপরি আমাদের দেশের গুনি শিল্পীদের পারফর্ম দিয়ে পুরা অনুষ্ঠান সাজানোর কথা ৷
হ্যা অতিথি শিল্পীরাও পারফর্ম করবে তবে তা অতিথি হিসেবে ৷
আমাদের দেশে আমাদের টেক্সের টাকা খরচ করে অনুষ্ঠান করা হচ্ছে আর সেখানেই কিনা আমাদের দেশের শিল্পীরা রা উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে !!
আমি এখানে ভারতীয় অতিথি শিল্পীদের দোষ দিচ্ছিনা, আয়োজকরা যেভাবে বলছে তারা সেভাবেই করছে ৷ আমি ধিক্কার জানচ্ছি আমাদের দেশের দালালদের প্রতি ৷
এটি স্বাধীন
রাষ্ট্র নাকি ইন্ডিয়ার অঙ্গ
রাষ্ট্র বুঝে উঠতে কষ্ট হচ্ছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।