আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোগ বা অসুস্থতা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর বান্দার জন্য পরীক্ষা বিশেষ।

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি
রোগ বা অসুস্থতাও মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর বান্দার জন্য পরীক্ষা বিশেষ। পবিত্র কোরআন ও হাদীস থেকে জানা যায় যে, রোগের কারণে গোনাহ ঝরে যায় বা ক্ষমা করা হয় এবং সম্মান-মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। বান্দা যখন রোগ যন্ত্রনায় কষ্ট পেতে থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার আমল নামায় নেকী লেখা হতে থাকে।

মুসলমান যখন রোগাক্রান্ত হয় তখন তাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে, রোগ যন্ত্রনার কারণে কারো কাছে কোনো অভিযোগ করা যাবে না বরং মহান আল্লাহর কাছে এর বিপুল বিনিময়ের আশা পোষণ করতে হবে। রোগকে কল্যাণ অর্জনের তথা নেকী লাভের মাধ্যমে পরিণত করতে হবে।

যেমন বেশী বেশী আসতাগফিরুল্লাহ পড়তে হবে, সময়ের প্রত্যেক মুহুর্ত্বে মহান আল্লাহর নামের যিকর করতে হবে।

রোগাক্রান্ত অবস্থায় পড়ার মতো দোয়ার মধ্যে একটি গুরত্বপূর্ণ দোয়া রয়েছে এবং এই দোয়ার মধ্যে সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। এই দোয়া সম্পর্কে নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, যে কেউ রোগাক্রান্ত অবস্থায় এই দোয়া পড়বে এবং সেই রোগেই যদি তার ইন্তেকাল হয় তাহলে তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে-

যখন কোনো ব্যক্তি ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ উচ্চারণ করে, মহান আল্লাহ তায়ালা ঐ ব্যক্তির উচ্চারিত বাক্যের বিনিময় দান করেন এবং বলেন, ‘অবশ্যই আমি একমাত্র ইলাহ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ’। পুনরায় বান্দাহ যখন উচ্চারণ করে, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ দাহু’ তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ অবশ্যই আমি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই এবং আমি এক ও অদ্বিতীয়।

’ পুনরায় বান্দা যখন উচ্চারণ করে, ‘ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ দাহু লা শারিকা লাহু’ তখন মহান আল্লাহ বলেন, “ অবশ্যই আমি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই, আমি এক ও অদ্বিতীয় এবং আমার কোন অংশীদার নেই। ’

বান্দা যখন পুনরায় উচ্চারণ করে, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ লাহুল মুলক ওয়া লাহুল হামদ’ তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ আমি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই এবং সার্বভৌমত্ব, ক্ষমতা ও সামাজ্য কেবলমাত্র আমারই এবং সকল প্রশংসাও একমাত্র আমার। ’ পুনরায় বান্দা যখন উচ্চারণ করে, ‘ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ তখন মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ নেই। আমি ব্যতীত রক্ষাকারী, সহায়তাকারী এবং প্রবল শক্তি ক্ষমতার অধিকারী কেউ আছে?’ এর পর নবী করীম (সাঃ) বললেন, যে কোনো ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হবার পরে যদি এই দোয়া পড়ে এবং সেই রোগেই যদি তার ইন্তেকাল হয়, তাহলে তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। (তিরমিযী, হাদিস নং-৩৪৩০)

দোয়া টি হলঃ
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার,
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ দাহু’
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ দাহু লা শারিকা লাহু’
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ লাহুল মুলক ওয়া লাহুল হামদ’
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’


(জান্নাত লাভের সহজ আমল-৮৮)

 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।