তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহার, বিপুল যাহার আশা, অটল যাহার সাধনা
দশম শতাব্দীর ঘটনা। সিরিয়ার তারাবলুস শহরে সেকালে বনু আম্মার গোত্রের শাসনকাল। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত সুলতান জালালুদ দৌলা আলি বিন মুহাম্মদ বিন আম্মার। ওই শহরে ‘দারুল ইলম গ্রন্থাগার’ নামে একটি সুবৃহৎ ও সমৃদ্ধ পাঠাগার ছিল। সুলতান বিশেষভাবে এ বিষয়ে উৎসাহী ছিলেন বলে এর জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে রাখতেন।
ফলে সেসময়ের সবচেয়ে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি হিসেবে এটি প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল। এ পাঠাগারের গ্রন্থসংখ্যা ছিল ত্রিশ লাখ (তিন মিলিয়ন)। একশ আশিজন লোক দিনরাত পালাক্রমে সেখানে অনুলিখনের কাজ করতো।
কালের দুর্বিপাকে খ্রিস্টানবাহিনী যখন ওই শহরে আক্রমণ করল এবং সেটি তাদের দখলে নিল, তারপর একজন পাদ্রি সেটি দেখার জন্য পাঠাগারে ঢুকল।
প্রবেশফটকের পর গ্রন্থাগারের প্রথম কামরাটি ছিল পবিত্র কুরআন শরীফ রাখার জন্য।
পাদ্রি ওই কামরাটিতে এতগুলো কুরআন শরীফ দেখে ভাবল, এ পুরো লাইব্রেরিটাই হয়তো কুরআন শরীফ দিয়ে সাজানো। পাদ্রি আদেশ দিল, এই পুরো গ্রন্থাগারে আগুন ধরিয়ে দাও। খ্রিস্টানবাহিনীর সৈন্যরা তুমুল উৎসাহে ধর্মীয় কর্তব্য মনে করে ত্রিশ লাখ বইয়ের সংগ্রহশালাটি আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দিল।
আহা! এমন হিংসুটে, মূর্খ ও সংকীর্ণমনাদের উগ্রতায় হারিয়ে গেল একটি সমৃদ্ধ প্রাণবন্ত পাঠাগার। বিশ্ব বঞ্চিত হলো অমূল্য জ্ঞানভাণ্ডার থেকে।
তাদেরই প্রজন্ম আজ আমাদেরকে সবক শেখায়, সভ্যতা ও উদারতা কাকে বলে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।