শনিবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত যে ১২টি উপজেলার ভোটের ফল এসেছে তার ৭টিতেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা জয় পেয়েছেন চার উপজেলায়।
এই উপজেলাগুলোর মধ্যে এলডিপি সমর্থিত একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশের ৪১ জেলার ৮১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়।
তবে প্রথম দুই পর্বের তুলনায় এবার ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও সংঘর্ষের ঘটনা বেশি দেখা যায়।
সহিংসতায় বাগেরহাট ও শরীয়তপুরে দুজন নিহত হয়েছেন।
ভোটে কেন্দ্র দখলের ‘মহোৎসব’ হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ বলছে, তাদের নেতাকর্মীরাই আক্রান্ত হয়েছেন।
১২টি উপজেলায় বিএনপি সমর্থিতদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় মো. শরীফুল ইসলাম ও কুলিয়ারচরে নুরুল মিল্লাত, খুলনার পাইকগাছায় অ্যাডভোকেট স ম বাবর আলী, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় বাদল আমিন, মানিকগঞ্জের ঘিওরে খন্দকার লিয়াকত হোসেন, বান্দরবান সদর উপজেলায় আবদুল কুদ্দুছ এবং আলীকদম উপজেলায় আবুল কালাম নির্বাচিত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় মো. আয়ুব আলী, ফরিদপুর সদরপুর উপজেলায় কাজী শফিকুল রহমান, শরীয়তপুর সদর উপজেলায় আবুল হাসেম তপাদার এবং নড়িয়া উপজেলায় একে এম ইসমাইল হক নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় এলডিপি সমর্থিত আবদুল জব্বার চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে গত ১৯ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম দুই পর্বের ভোটে বিএনপি সমর্থিত ৯৮ জন এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ৮২ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর ২০ নেতা, জাতীয় পার্টির দুই নেতা এবং জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) তিন নেতা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।