আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।
আগামী জুন মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্্রভিত্তিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘আইএইচ’এস। ’ ‘আইএইচএস জেনস’, কর্তৃক বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্র শিবিরকে বিশ্বে ৩ নম্বর সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার প্রেক্ষিতে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতি জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে ‘ইউএস কমিটি ফর সেক্যুলার এ্যান্ড ডেমক্র্যাটিক বাংলাদেশ’।
১৪ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি ও নিউজার্সীর প্লেইন্সবরো সিটি কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী জানান, ‘জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে ইতোমধ্যেই হোয়াইট হাউজ, ইউএস কংগ্রেস, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
সিনেটে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর রবার্ট ম্যানেন্ডেজের অফিসে গত সপ্তাহে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সকলকে জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের তথ্য জানিয়েছি। একইসঙ্গে একাত্তরে গণহত্যার সঙ্গে এই সংগঠনের জড়িত থাকার তথ্যও উল্লেখ করা হয়েছে। ’
ড. নবী আমেরিকায় বসবাসরত: বাংলাদেশীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করতে। তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপিও যদি তার ভুল বুঝতে পেরে খুব দ্রুত জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততা পরিহার করতে পারে তাহলে সেটি বিএনপির জন্যে কল্যাণের হবে।
কারণ, বাংলাদেশের মানুষ এখন জামায়াত-শিবিরের প্রকৃত চেহারা অনুধাবনে সক্ষম হয়েছে এবং বাঙালিরাও যে কোন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘৃণা করে’-বলেন ড. নবী।
জ্যাকসন হাইটসের ফুডকোর্ট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম, মোজাম্মেল হককে অভিনন্দন জানিয়ে জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, ‘সারাবিশ্বের উপর গভীর পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোও এখন শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিত। আর এই শিবিরের মুরুব্বি হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। তাই জুন পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করতে চাই না।
স্বাধীনতার মাস এই মার্চেই জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে জামায়াত-শিবির মুক্ত বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালন করতে চাই। ’ জাকারিয়া চৌধুরী আরও বলেন, ‘একাত্তরে আলবদর, আল শামস অথবা রাজাকার ছিল, এমন ব্যক্তিরা নিউইয়র্কে অবস্থান করে তথাকথিত হিউম্যান রাইটস সংগঠনের ব্যানারে নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের ইমেজ বিপন্ন হয় এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে সুধীজনে শঙ্কা দেখা দেয়-এমন আজগুবি সংবাদ, নিবন্ধ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করছে। জামায়াতের অর্থে পরিচালিত মিডিয়াগুলোর এহেন জঘন্য অপপ্রচারে সাধারণ প্রবাসীরা যাতে বিভ্রান্ত না হন সে জন্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সকলকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। ’
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এখনও জামায়াতে ইসলামকে মডারেট ইসলামিক এ্যান্ড ডেমোক্র্যাটিক পলিটিক্যাল পার্টি হিসেবে মনে করছে বলে উল্লেখ করে ড. নূরন্নবী বলেন, ‘গত ৬/৭ মাসের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাস তথা স্টেট ডিপার্টমেন্টের বোধোদয় ঘটবে বলে আশা করছি।
’ তিনি বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের অর্থের উৎস বন্ধ করার পাশাপাশি জামায়াতের লোকজনের সকল প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে। এ দাবি ১৬ কোটি বাঙালির এবং প্রবাসীদের। ’
নিউইয়র্কসহ আমেরিকায় জামায়াত-শিবিরের ঘাঁটি রয়েছে এবং তাদের অর্থে চিহ্নিত কয়েকজন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচার চালাচ্ছে। এদের সম্পর্কে সজাগ থাকার আহবান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নূরনবী কমান্ডার, মহিউদ্দিন দেয়ান, আব্দুল হাসিব মামুন, খোরশেদ খন্দকার, আকবর হায়দার কিরন, মাসুদ হুসেন সিরাজী এবং আযহারুল হক লিটন।
সুত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।