ভুল চিকিৎসার তদন্ত ও বিচারের জন্য নতুন বিধান সংযোজন করে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) আইনকে শক্তিশালী করার কথা সরকার বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
আজ রবিবার ঢাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ‘বিশ্ব লবণ সচেতনতা সপ্তাহ-২০১৪’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিচার্স ইনস্টিটিউট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভুল চিকিৎসা প্রমাণিত হলে চিকিৎসকদের সনদ বাতিলের জন্য বিএমডিসিকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে দেশের প্রখ্যাত ও জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য শিগগির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আলোচনা শুরু করবে।
ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হলে প্রায় সময় হাসপাতাল ও ডাক্তারদের চেম্বার ভাঙচুর ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। বিএমডিসিকে বিচারের ক্ষমতা দিলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্টরা আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে মন্ত্রী গণমাধ্যমের জন্য প্রেস কাউন্সিল এবং আইনজীবীদের জন্য বার কাউন্সিলের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতিষ্ঠিত বড় বড় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে গরিব রোগীদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি হাসপাতালগুলো কি দরিদ্র রোগীদের জন্য চার্জ কমিয়ে দিতে বা বিনামূল্যে শয্যা নির্দিষ্ট করে রাখতে পারে না? গরিব রোগীদের জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলো সপ্তাহে এক দিন বা দুই দিন বিশেষ সেবার ব্যবস্থা করলে দেশের বিশালসংখ্যক দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে।
দেশের সম্পদের সীমাবদ্ধতার ফলে কোটি কোটি দরিদ্র জনগণের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকারকে সহযোগিতার জন্য বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।
ফাউন্ডেশনের মহাসচিব জাতীয় অধ্যাপক আবদুল মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনস- স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক দীন মো. নুরুল হক, সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত, হাইপারটেনশন কমিটি অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আর কে খন্দকার বক্তৃতা করেন।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সোহেল রেজা চৌধুরী।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।