আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিন্দি-আধিপত্য ঠেকানোর উপায় কী, কেন জরুরি?

তোকে দেখিনা, কতো হাজার বছর হয়ে গেলো...

বাংলা ভাষায় হিন্দির আগ্রাসন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই সরগরম আন্তর্জালিক জগত। কেউ বলছেন এটি আগ্রাসন নয়। খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কেউ বলছেন এটি অবশ্যই আগ্রাসন। স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নয়।



জাতি হিসেবে আমরা, বাংলাদেশিরাই মনে হয় খুব দ্রুত বিভক্ত হয়ে পড়তে পারি। আর আমাদের বিভক্ত হওয়া মানে সম্পর্কই চুকিয়ে বুকিয়ে দেওয়া। সমস্যার মূলোৎপাটনে আমাদের কোনো মনোযোগই নেই।

তো হিন্দি ভাষা- হিন্দি সংস্কৃতি এবং হিন্দি তথা ভারতের মিডিয়াগুলো আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক সম্ভাবনা কিভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে; এ নিয়ে যথাযথ নিবন্ধ লেখেছেন মাহবুব মোর্শেদ ভাই।

তিনি লেখাটি প্রকাশ করেছেন তার ফেসবুক নোটে।

পরে তা কলাম আকারে প্রকাশ করেছে পরিবর্তন। চাইলে পড়তে পারেন।

লেখাটির একাংশ:
ভারতীয়রা তাদের দেশে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো দেখায় না বলে আমাদের অনেক অভিযোগ ও অভিমান। ভারতপন্থী বুদ্ধিজীবী-রাজনীতিক থেকে শুরু করে চরম ভারতবিরোধী ব্যক্তি পর্যন্ত সবার অবস্থান এ বিষয়ে এক কাতারে। এ নিয়ে সরকারি, বেসরকারি পর্যায়ে নানাভাবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়ী, মিডিয়ার কাছে আবেদন, আবদার, দাবি, প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। আমাদের দাবি-প্রতিবাদে আন্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু ভারত কেন তাদের দেশে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল দেখায় না?

পুরো ভারতে না দেখাক, অন্তত বাংলাভাষী এলাকাগুলোতে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার উন্মুক্ত করে না? এ কি ভারতের রক্ষণশীলতা? ভয়?উপেক্ষা? নাকি অন্য কিছু? গণতান্ত্রিক রীতিনীতির একটি দেশ কেন পার্শ্ববর্তী একটি দেশের টিভি তাদের দেশের নাগরিকদের দেখতে দেয় না? এর রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব কতটুকু?

এ প্রশ্নগুলোর উত্তর সহজভাবে পেতে হলে আমাদের ছোট একটা কাজ করতে হবে। আমাদের দেশে ভারতীয় চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করলে কী হবে তা কল্পনা করে নিতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।