যখন পেয়েছি পথের দেখা তখন আবার দিকভ্রান্ত হয়ে হারিয়েছি পথ.........
হটাত করে ঘুরতে যেতে ইচ্ছা করছে! এর মধ্যে এক বন্ধু আবার সামনের মাসে পরীক্ষা দিতে সিঙ্গাপুরে যাবে। সে এসে বললো কোথায় ঘুরতে যাওয়া উচিৎ! আমি বললাম কম টাকায় কোথায় যাওয়া যায় খুজে দেখ! হটাত করে মাথায় আসলো বার্মার নাম! পরিচিত কয়জনকে ফোন দিলাম যারা টেকনাফে আছে। তারা বললো আসেন ভাই কোনো সমস্যা নাই! দুইজন আমরা প্রস্তুত্ এর মধ্যে এক বন্ধু বললো সে যাবে! আমরা চট্রগ্রাম থেকে যাবো টেকনাফে আর ঢাকা থেকে আসা বন্ধু সরাসরি টেকনাফে যাবে! ওইখানে আমরা মিলিত হবো!
যাই হোক রাত ১২ টার দিকে চট্রগ্রামের বাস স্ট্যান্ডে পৌছালাম কিন্তু আজব কাহিনী বাস ছাড়বে রাত ২টার দিকে! তাও ভালো সকাল ৬/৭ টার দিকে নামিয়ে দিবে! আমাদের মুলত টেকনাফ বন্দরে যাবার পরিকল্পনা ছিলো কিন্তু বাসে কিছু লোক জন বললো যে এতো সকালে বন্দরের ইমিগ্রেশন অফিস খুলবে না তাই টেকনাফ শহরে নামতে! আমরাও চিন্তা করলাম এটাই আমাদের জন্য ভালো হবে!
যাই হোক টেকনাফ শহরে নেমে প্রাকিতিক কাজ এবং হাত মুখ ধুয়ে একটা দোকানে বসে ঢাকা থেকে আসা বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এর মধ্যে আমাদের পাসপোর্ট এবন ভোটার আইডি কার্ড ফটো কপি করলাম।
এর মধ্যে বন্ধু এসে পরলো! বেচারাকে এতো করে বলার পরেও ছবি আনতে ভুলে গেছে।
যাই হোক কপাল ভালো এতো সকালে ছবির দোকান খুলেছে । তড়িঘড়ি করে ছবি তুলে নিলাম।
হাতে এখনো অনেক সময় বাকি তাই নাস্তা সেরে নিলাম আর লোক জনের সাথে কথা বলছিলাম বার্মা সম্পর্কে ! একেক জন একেক কথা বলছিলো! তবে সবাই একটা কথা বললো তা হলো মোবাইল এবং ক্যামেরা নেওয়া যাবে না সাথে সিমও নেওয়া যাবে না!!
মোবাইল নাইলে মানলাম কিন্তু ক্যামেরা ছাড়া ঘুরতে যাওয়ার কোনো মানে নাই!! ঘুরতে যাবার সৃতি তো ওই ক্যামেরার ছবিগুলোই থাকবে। ৯:৩০ বাজে তাই দেরি না করে একটা চান্দের গাড়িতে উঠে বন্দরের দিকে রওনা দিলাম! ১৫ মিনিটের মধ্যে বন্দরে এসে পরলাম! ঢুকার সময় বি ডি আর মানে বিজিবি বাধা দিলো এবং আমাদের উদ্দেশ্য বলতেই অফিস দেখিয়ে দিলো!! অফিসে গিয়ে এস আইকে আমাদের উদ্দেশ্য বললাম!! তিনি আমাদের খুব আন্তরিকতার সাথে সাহায্য করলেন এবং খুব তাড়াতাড়ি পাসপোর্ট বানিয়ে দিলেন এবং ইমিগ্রেশন পার করে দিলেন!
আসলে তারাতাড়ি না করলে আমরা বোট মিস করতাম! বোট ১১:৩০ এ ছাড়বে। ও আচ্ছা আসল কথা বলে নেই এখানে কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্ট দিয়ে কাজ হবে না!! বার্মা যেতে এইখানে একটা নতুন পাসপোর্ট বানাতে হবে! পাসপোর্ট , ইমিগ্রাশন এবং যাওয়া আসা বোট ভাড়া ২০০০টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।
আমাদের এস আই মানা করে দিলো কোনো ভাবেই যেনো মোবাইল এবং ক্যামেরা না নেই তাহলে কিন্তু সমস্যায় পড়বো! মোবাইল কাস্টমের এক মহিলার কছে রাখলাম এবং বললাম যে যাওয়ার সময় কিছু টাকা দিয়ে যাবো।
আবার শুনলাম ৫ হাজার টাকার বেশী নিয়ে যাওয়া যায় না! এখন টাকাও অনেক বেশী আবার ক্যামেরা ছাড়া যাবো না!! কি করা যায় একটা তো ব্যাবস্থা করতে হবেই!!
যাই হোক শেষ পর্যন্ত ক্যামেরা এবং টাকা দুইটাই নিতে পেরেছিলাম ! আর লিখতে ইচ্ছা করছে না তাই পরের পর্বে বর্ণনা করবো কি ভাবে ক্যামেরা আর টাকা নিয়েছিলাম!
অনেক চেষ্টা করেও ছবি আপলোড করতে পারি নাই!! পরের পর্বে দিবো ইনশাল্লাহ!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।