তোকে দেখি না, কতো হাজার বছর হয়ে গেলো...
ইসলামী ব্যাংকের টাকা নিতে যাদের সমস্যা, এরা হইলো এক নম্বর হিপোক্রেট। এরা নিজেরা বেশিরভাগই অকর্মা। জীবনে বলার মতো কিছুই করতে পারে নাই। এদের মূল কাজ যেখানে সেখানে অত্যন্ত অযৌক্তিকভাবে বামহস্ত ঢুকানো। এরা বলতেছে, ইসলামী ব্যাংকের টাকা নিলে তারা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার রেকর্ডে অংশ নিবে না।
এখন কথা হইলো জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার রেকর্ড করাটা আসলে কী? এইটা করলে কী হবে? গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠলে দেশে দরিদ্রের সংখ্যা কতোটা কমবে? কিংবা মাথাপিছু আয় কতো ডলার বাড়বে? আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করার এই ভূত কোত্থেকে আসলো?!
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সময় গোসল না করার রেকর্ড, সবচেয়ে বড় নখ-চুল রাখার রেকর্ডের পাশে স্থান পাবে সবচেয়ে বেশি মানুষের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার রেকর্ড! বুঝুন ব্যাপারটা। কতোটা গর্দভ হলে মানুষ এই কাজে কোটি কোটি টাকা খরচ করে? বিশেষ করে আমাদের মতো গরীব দেশের মানুষের এই কাজ করাটা অন্যায়ের পর্যায়ে পড়ে। তাও আবার জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে এমন হঠাকারীতা! ঘোরতর অন্যায় বলেই মনে করি আমি।
ইসলামী ব্যাংকের টাকা নিতে যাদের সমস্যা, এই অথর্ব ভন্ডরা কোনোদিন দেশের কথা ভাবে না। এরা সব সময় দেশটাকে হাজার ভাগে ভাগ করার আকাম করে বেড়ায়।
এরা কখনো বলবে না তিন কোটি টাকা দিয়ে তিনটা বিশ্বমানের মিউজিক স্কুল করা যাবে। যেখানে প্রতি বছর শতশত শিল্পী তৈরি করা যাবে। যাদের দিয়ে মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি।
উদীচী বলছে, জামায়াতর ব্যাংকের অনুদান নেওয়া যাবে না। তো তারা ইসলামী ব্যাংকটাকেই বন্ধ করে দেয় না কেনো? ইসলামী ব্যাংক যে জামায়াতেরই তার প্রমাণ কী? ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে কি আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় কেউ নেই? কিংবা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে ইসলামী ব্যাংক কী করছে, তা কি উদীচী জানে? বোঝে?
আমাদের সময় এসেছে, বাস্তবতা নিয়ে ভাবার।
দেশটাকে ভাগ করে রাখলে কোনোদিনও জাতি হিসেবে মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবো না আমরা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের একটা ব্যাংক।
এখানে কথা হলো, যদি জামায়াতের অর্থউপার্জনের জন্যই ইসলামী ব্যাংকের সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে সে পথ বন্ধ করা হোক। সুনির্দিষ্টভাবে জামায়াতের মেরুদন্ড ভেঙে ফেলা হোক। এই একটা শব্দ আমাদের দেশটা পুরো ধ্বংস করে দিচ্ছে।
জামায়াতকে চিহ্নিত করে যৌক্তিকভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হোক।
উদীচী এবং এদের মতো নিজেদের বাংলাদেশি সংস্কৃতির বাবা-মা মনে করারা আসলে চূড়ান্ত রকমের 'শয়তান'। বেহুদা বিতর্ক তৈরি করাই এদের কাজ।
উদীচী বলছে, ইসলামী ব্যাংকের টাকা ফেরত দেওয়া হলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার চিন্তা করবে তারা। ভাবখানা এমন যেনো জাতীয় সঙ্গীতটা তাদের বাবার সম্পত্তি।
কতো বড় ধৃষ্টতা!
এ কথা বলে আমি কোনোভাবেই লাখ কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার একটা 'আবালতোষ' অনুষ্ঠানকে সমর্থন করছি না। এটা নিয়ে হয়তো কোনো কথাই বলতাম না। কিন্তু উদীচীর আচরণে মেজাজাটা চরম খারাপ হয়েছে।
আর যারা লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে রেকর্ড করার মুখরোচক বুলি শুনিয়ে যাচ্ছেন, তাদেরকে বলি, আপনার এবার ক্ষেমা দেন। দেশের মানুষের দুঃসহ কষ্টের জীবনধারা নিয়ে চিন্তা করেন।
দেখেন এখনো কতো মানুষ যোগ্যতা থাকতেও চাকরি পায় না। দেখেন এখনো এই দেশেই এমন মানুষ আছে যারা তিন বেলা খাবার পায় না। কিংবা পেলেও কতোটা বেশি কষ্ট তাদের করতে হয়।
জাতীয় সঙ্গীতটা জাতির সম্পদ-সম্পত্তি। এটিকে কর্পোরেট কোম্পানির বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল বানায়েন না।
কয় লাখ মানুষ দিয়ে আপনারা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়াবেন? এই দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রাণে জাতীয় সঙ্গীত প্রতি মুহূর্তেই বাজে। জাতীয় সঙ্গীত বিশ্বকে দেখিয়ে, রেকর্ড করে গাওয়ার সঙ্গীত না। আপনারা এইবার ক্ষেমা দেন...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।