যখন পেয়েছি পথের দেখা তখন আবার দিকভ্রান্ত হয়ে হারিয়েছি পথ.........
আপনাদের আগের পর্বেই বলেছি যে ক্যামেরা মোবাইল এবং পাঁচ হাজারের বেশী টাকা নেওয়া যায় না!! কিন্তু মোবাইল না নিলেও চলবে কিন্তু ক্যামেরা ছাড়া চলবে না তাই ক্যামেরা ব্যাগের তলায় নিয়ে নিলাম। বোটে উঠে গেলাম এর মধ্যে বোটে বসা একজন বললো পাঁচ হাজার টাকার বেশী নেওয়া যায় না। এখন উপায় যাই হোক বোট থেকে নেমে একটু চিপায় গিয়ে টাকা পাঁচ হাজার রেখে বাকি সব মুজার ভিতরে ঢুকালাম। যা আছে কপালে। আসতে দেখি বোট ছেড়ে দেয় দেয় অবস্থা তাই দেরি না করে উঠে পড়লাম!!
এখান থেকেই বোট ছাড়ে! বোট বলতে আমরা যেটাকে ট্রলার বলি।
আর ছবিতে যেই জাহাজটি দেখা যাচ্ছে তা আমাদের নেভী আটক করছে। এই জাহাজে করে রোহিঙ্গারা নাকি মালেশিয়া যেতে চেষ্টা করছিলো। যাচ্ছিলো যাক গা ধরার কি দরকার ছিলো আমি ঠিক বুঝি না!
যাই হোক নাফ নদী ধরে চলে যাচ্ছি আস্তে আস্তে। আমাদের বোটে বাঙালীর থেকে রোহিঙ্গা বেশী। বেশীর ভাগ এসেছে চিকিৎসা করাতে।
কেনো তাদের দেশ রেখে আমাদের দেশে আসে চিকিৎসা করাতে তা পরে বলছি।
বোটের চলছে নাফ নদীর বুক চিঁড়ে।
কিছুদুর যাবার পর একটা বাক এলো ছোটো খালের মতো। মুলত এখান থেকে বার্মা শুরু।
বাক দিয়ে একটু সামনে আগাতে দেখি নদীর এক পাসে তারকাটার বেড়া দেওয়া আর অন্য পাসে তাদের সীমান্ত বাহিনির ওয়াচ টাওয়ার।
পুরো খাল তারকাটায় ঘেরা। খালে মাছ ধরছে এক রোহিঙ্গা।
পিছনে যেই ঘর বাড়ি টাওয়ার দেখা যাচ্ছে সেটাই মুলত বার্মার ঘাট । কাস্টম ইমিগ্রাশন সব মুলত এখানেই।
এবার ঘাটে উঠার পালা।
ঊঠে দেখি সবার ব্যাগ খুলে যেভাবে চেক করছে তাতে আমার ক্যামেরা ধরা খাবেই মিস নাই। আমিতো আল্লাহ আল্লাহ করছি কি হয়। এর মধ্যে আমার চেকের পালা। আমার ব্যাগের তিন চেম্বার। উপরের দুই চেম্বার ছোট একদম নিচের চেম্বার বড়।
উপরের চেম্বারে কিছু চকলেট আছে। যাই হোক ইমিগ্রাশনের লোক জন উপরের চেম্বার খুললো। চক্লেত দেখে জিজ্ঞাসা করলো এইগুলো কি! আমি বললাম চকলেট এবং তাকে একটা খেতে দিলাম। সাথে সাথে বললো অকে যাও আর চেক লাগবে না। আমি হাফ ছেড়ে বাচলাম।
এর পর আমাদের জিজ্ঞাসা করলো কোন হোটেলে থাকবো। এখানে এসে বলতে হবে আপনি কোন হোটেলে থাকবো। আমরা আগেই হোটেল স্কাই ভিউ এর নাম জেনে নিয়েছিলাম। তাই এই হোটেলের নাম বললাম। আর একটা কথা আপনি যেই হোটেলের নাম বলবেন সেই হোটেলের উঠতে হবে।
এরপর আমাদের ছবি তুলতে নিয়ে গেলো। ছবি তুলে বললো আমরা মুক্ত মানে যেতে পারি।
হোটেলে উঠলাম। ভাড়া ২০০টাকা এক জন। একজন এক রুমে থাকলে যে ভাড়া তিন জন এক রুমে থাকলেও সেই ভাড়া।
আমরা তিনজন ২টা রুম নিলাম। হোটেলের ছাদে উঠে কিছু শহরের ছবি তুললাম।
একদম ছোট শহর। তেমন কিছুই নেই। একটা কথা বলতে ভুলে গেছি আমরা কিন্তু সব থেকে কমদামী হোটেলে উঠেছি।
এখানে সব থেকে ভালো হোটেল খান্না! ৬০০টাকা করে নেয় এক রুম।
আর লিখতে ইচ্ছা করছে না। আমরা খুব টেনশনে আছি কারণ আসার সময় যে ভাবে চেক হয় যাওয়ার সময়ও সেই ভাবে চেক হয় তাই ক্যামেরা নিয়ে টেনশনে আছি। আপনারাও টেনশনে থাকুন।
আমরা যেই হোটেলে উঠেছি তা রোহিঙ্গা হোটেল।
তাই আমাদের ভাসা নিয়ে কোনো সমস্যা নাই। বাংলা দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন চমক এবং রোহিঙ্গাদের করুন কাহিনী আসছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।