জানি না কেন লিখি! তবু লিখি মনের খেয়ালে, পরিবর্তন করার মানসে, পরিবর্তিত হওয়ার মানসে। যদিও জানি সব ব্যর্থ হচ্ছে। তবুও আমি আছি সেদিনের সেই আলোকময় প্রত্যুষার আগমনের অপেক্ষায়
পৃথিবীতে সময়টা বড় কম। এরই মাঝে আছে আবার সাংসারিক নানা হ্যাঙ্গামা, দুই বেলা রুটি রুজির চিন্তা, বাজার করা, বাচ্চার স্কুল, ডাক্তার দেখানো, ঔষধ কেনা, রাতের বেলা মশারি টানানোসহ আরো কত কী কাজ? এসব দুনিয়াদারীর কারণে কত শখ, কত আহ্লাদ কর্পূরের ন্যায় উবে যাচ্ছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নহীনই রয়ে যাচ্ছে। এই দেখুন না এই ব্লগেই পড়ার মত কত কী আছে! শুধু ভাল ভাল লেখাগুলো পড়তেই কয়টা জনম লাগতে পারে! আহা, পৃথিবীতে সময় বড় কম।
অথচ এখানে কত কিছু দেখার আছে, কতকিছু শেখার আছে। কত বই পড়ে আছে। কোন শর্টকাট ওয়ে যদি থাকতো যে সব লেখা, সব বই জিপ করে মগজে নিয়ে নেওয়া যেত। কিংবা অন্ততপক্ষে ঘুমানোর সময়েও যদি পড়া যেত। আহা কতই না ভাল হতো যদি একদিকে বলছি আর একদিকে বই পড়া হয়ে যাচ্ছে, একদিকে কাজ করছি অন্যদেক পড়ার কাজটাও হয়ে যাচ্ছে।
কী অপূর্ণতা নিয়ে সময় কাটিয়ে দিচ্ছি মনে হলে সাংঘাতিক আফসোস হয়। অথচ সময় কিন্তু চলে যাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে।
বউকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। কারণ আমার বউ আমাকে এই জীবনে অনেক সুযোগ দিয়েছে। বলতে গেলে সে আমাকে অন্যদের তুলনায় সংসার থেকে একেবারে মুক্তিই দিয়ে দিয়েছে।
তবুও কর্তব্যের খাতিরে যা করছি তাও আমার কাছে বোঝা মনে হয়। আচ্ছা, দুই বেলা খাবারের জন্য কী এত শ্রম এত সময় ব্যয় করা মানুষের সাজে? আসলেই কী এত লড়াইয়ের প্রয়োজন আছে? কেউ কী বেশি খেয়ে, বেশি ঘুমিয়ে বেশিদিন বেচে থাকতে পারবে? আর পারলে কতটাইবা পারবে। সময় ফুরিয়ে যাবে, খুব তাড়াতাড়িই প্রদীপের তেলটুকু ফুরিয়ে যাবে। হায় আফসোস! হায় আফসোস কত কী করতে পারলাম না, কত কি দেখতে পারলাম না।
একটা গল্পে শুনেছিলাম এক অসুস্থ লোক নতুন জুতো কিনে তা পরিধান না করেই মারা গিয়েছিল।
মারা যাবার আগে নাকি এ জন্য তার বড় আফসোস হয়েছিল। পরজনমে সে নাকি একারণে মুচি হয়ে জন্মেছিল। তখন তার চারিদিকে জুতো আর জুতো। আমিও যদি আফসোস নিয়ে মারা যাই তাহলে পরজনমে আমি কী হবো বা পরকালে আমি আফসোস পূরণে কী পাব?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।