দিনাজপুর-পার্বতীপুর সড়কটির প্রায় ৩০কি.মি এলাকা বর্তমানে মরণ ফাঁদ।
বর্ষা মৌসুমে সড়কটির দু'ধারের মাটি সরে যাওয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং নিচু স্থানে পানি জমে যাওয়ায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তের কারণে সড়কটিতে অহরহ দূর্ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় ছোট যানবাহনগুলো বড় যানবাহনকে সাইড দিতে গিয়ে রাস্তার ধারে উল্টে পড়ে যাচ্ছে। ফলে এই ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তাটিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনা।
গত ৬ মাসে এ সড়কটিতে দূর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন এ সড়কটি দিয়ে দু'সহস্রাধিক ট্রাক, যাত্রিবাহী বাস, পিকআপ ভ্যান, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাঙ্কলরি, ইজিবাইক, মেটরসাইকেল, নছিমন, করিমন, রিক্সাভ্যান চলাচল করায় সড়কটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে সড়কটি যাতায়াতের জন্য একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি সরু ও বেহাল দশা হওয়ার কারণে যে কোন মূহুর্তে আরো বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
এ সড়কটিতে গত ৬ মাসে ৩ জোড়া দম্পতি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
তার হলেন-পার্বতীপুর উপজেলার ইন্দ্রপুর গ্রামের ফিরোজ ও তার স্ত্রী সীমা, আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের বড়গ্রামের আকতার ও তার স্ত্রী আরুফা, একই ইউনিয়নের কৃষ্ঞপুর গ্রামের আ. সাত্তার ও রুমানা।
চিরিরবন্দরের ব্যবসায়ী নেতা শহিদুল ইসলাম, মোকারম হোসেন মুকুল, শ্রমিক নেতা আসলাম আলী, ইয়াকুব আলী, বাস ড্রারাইভার মোকছেদ আলী ও এনামুল জানান, সড়কটির চওড়া ও সংস্কার করা অতীব জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা সড়কটি চওড়া ও সংস্কার করার জন্য অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী করেন। তা না হলে সড়কটিতে দূর্ঘটনা লেগেই থাকবে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।