যখন পেয়েছি পথের দেখা তখন আবার দিকভ্রান্ত হয়ে হারিয়েছি পথ.........
আগের পর্বে তাড়াহুড়া করতে যেয়ে কিছু জিনিস মিস করেছি। এই বিষয়গুলো সাধারণ হলেও আমাদের মতো সাধারন পর্যটকদের কাছে খুব জরুরী। আমরা শুনেছি যে বার্মা ইমিগ্রাশনে ৫০টাকা ফিস দিতে হয় কিন্তু আমাদের কাছ থেকে কোনো ফিস নিলো না! খুব অবাক হলাম। যাই হোক আমাদের হোটেল ঘাট থেকে সবচেয়ে দূরে। তবে সুবিধা হলো এটা শহরের মাঝখানে।
কিসের সুবিধা কম টাকা ভাড়া তাই একটু চাপা মারতেছি!!
ঘাট থেকে রিক্সা নিলাম ভাড়া ২০ টাকা। যদিও এরা ৫০/ .৬০ টাকার মতো চাবে দামাদামি করে নিতে হবে। হোটেলে পৌছাবার পর আমাদের পাসপোর্ট নিয়ে নিলো এবং পাসপোর্ট প্রতি ৫০ টাকা করে নিলো। এখন বুঝলাম কেনো ৫০ টাকা নেয়নি তারা। হোটেল ভাড়া নিতে যাবো কিন্তু যে বাংলা টাকা নিবে না অগ্যতা কি আর করা একটু ফ্রেশ হয়ে টাকা ভাঙাইতে গেলাম।
রিক্সাওলাকেই বললেই দেখাইয়া দিবে যায়গাটা ঘাটের কাছেই। আমরা টাকা ভাঙলাম ২/৩ দোকান ঘুরে। ১০০ টাকা দিয়ে প্রায় ১১৭০ বার্মিজ চ্যাট পেলাম।
যাই হোক এইবার খাবার পালা। সামনেই একটা ভালো মানের হোটেল আছে।
এখানে খাবার দাম এবং মান অনেক ভালো। ২ প্লেট ভাত সবজি ডাল সালাদ এবং ৭/৮ টুকরা গরুর মাংস সহ দাম পড়বে মাত্র ১০০০ বার্মিজ চ্যাট মানে বাংলা ১০০ টাকারও কম। জিজ্ঞাসা করলাম কয়টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে। বললো সন্ধ্যা ৬/৭ টার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়।
যাই হোক ভাত খেয়ে চা খাওয়ার জন্য বের হলাম।
এখানে চায়ের অনেক দাম প্রায় ২০ টাকা। তবে স্বাদ খুব ভালো। চা খেয়ে একটু বাজারে ঘুরতে গেলাম । বাজারে এসে পুরা অবাক এইটা বাংলাদেশ নাকি বার্মা। বাজারে বাংলাদেশী জিনিস দিয়ে ভর্তি।
যাই হোক রোদ থেকে বাঁচার জন্য তিন জন তিনটা ক্যাপ কিনলাম। এবার শহর ঘুরার পালা। আজকে আর লিখতে ইচ্ছা করছে না কথা দিচ্ছি কাল ছবিসহ নতুন পর্ব লিখবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।