আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৪৬ উপজেলায় ভোটকেন্দ্র দখল: বিএনপি

সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন সংগঠনের তীব্র সমালোচনার মুখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ রোববার এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

অবশ্য ইসলামী ব্যাংক চাইলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনে এই অর্থ দিতে পারে। আবার কোথাও নাও দিতে পারে।  

অর্থ না নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়,

ইসলামী ব্যাংক সম্বন্ধে কারো তেমন ভাল ধারণা নেই এবং তাদের সহায়তা গ্রহণে আগেও অনেক প্রতিষ্ঠান অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাই দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যেতে পারে যে, ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সহায়তা গ্রহণ করা হচ্ছে না।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানব পতাকা গড়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা নেয়ার পর লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমেও রেকর্ড গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়।

এ আয়োজনের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য গত ১৪ মার্চ গণভবনে বিভিন্ন টেলিকম প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি ব্যাংক এবং বীমা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তার চেক গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নেতারাও ওইদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে সহায়তার চেক দেন, যাদের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ারও ছিলেন।

যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে আন্দোলনরত গণজাগরণ মঞ্চ কর্তৃক চিহ্নিত ‘যুদ্ধাপরাধীদের’ প্রতিষ্ঠান’  ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তার ওই অনুষ্ঠানে থাকার  খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে পরিচালিত ইসলামী ব্যাংকের টাকায় বাংলাদেশের এ বিশ্ব রেকর্ড গড়ার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

 

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু গত ১৮ মার্চ এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আমি মনে করি টাকা ফেরত দেয়া উচিত। আমি জানি না আমার কী হবে; ইসলামী ব্যাংকের টাকা দিয়ে জাতীয় সংগীত হবে না। টাকা ফেরত দেয়া হবে। ”

একই দিনে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কর্মসূচির জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে কোনো টাকা বা অনুদান নেয়া হয়নি। তবে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইসলামী ব্যাংক জড়িত।

দুই মন্ত্রীর দুই রকম কথায় বিতর্ক শুরু হলে ইসলামী ব্যাংকের এক বিবৃতিতে বলা হয়,  ‘লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ গাওয়ার আয়োজনেই তারা তিন কোটি টাকা দিয়েছে।

এরপর ‘লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ আয়োজনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দেয় গণজাগরণ আন্দোলনের অন্যতম সহযাত্রী উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী।

রোববার সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রাপ্ত সহায়তার সমন্বয় সাধন করতে গিয়ে আমরা দেখতে পাই যে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠানের জন্য তিন কোটি টাকা প্রদান করেছে। এই পর্যায়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড প্রদত্ত সহায়তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে। সেই অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড প্রদত্ত আর্থিক সহায়তা আমরা গ্রহণ করছি না।

“ইসলামী ব্যাংকের সহায়তা আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ- এ দিতে পারেন অথবা কোথাও নাও দিতে পারেন। ”

‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ আয়োজনে ইসলামী ব্যাংকের টাকা নেয়া নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় সরকারের এই ব্যাখ্যা দেয়া হলো বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।