আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাকুরীর ক্ষেত্রে: ৫টি বিষয় বসকে না জানানোই ভালো !

বসের ধমক আর গালমন্দ থেকে রেহাই পেতে চান? চাকরি টিকিয়ে রাখতে চান? ব্যাস, অফিসকর্তার কাছে ভুলেও পাঁচটি কথা ফাঁস করবেন না। আমেরিকার ডেইলি মিউজ জানিয়েছে এমন তথ্য। এক. দ্বিতীয় চাকরি: অনেকেই বাড়তি আয়ের জন্য চাকরির সাথে ব্যবসায় বা খণ্ডকালীন চাকরি করেন। বসদের রোষানলে পরার অন্যতম প্রধান কারণ হলো এটি। আপনি অফিস শেষে কী করেন, ব্যবসা নাকি চাকরি, কতক্ষণ করেন- এসব তথ্য ভুলেও দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের করবেন না।

বসকে তো নয়ই কোনো কলিগকেও এ কথা জানানো বারণ। কারণ, তাতে ‘কেষ্ট বেটাই চোর’ আপনিই হবেন। অফিসের টার্গেট পুরণ হয়নি, প্রতিষ্ঠানের লস হচ্ছে- সব দায় চাপানো হবে আপনার ওপর। অতএব পার্টটাইম বিজনেস বা চাকরি নিয়ে মুখে তালা লাগান এখনই। দুই. রাত জাগা: লেখাপড়া, মুভি দেখা, ফেসবুক আর টুইটারের কল্যাণে প্রায়ই আপনার রাতজাগা হয়।

কিন্তু সাবধান, বস যেন আপনাকে দেখে কোনোভাবেই তা বুঝতে না পারেন। সকালে অফিসের বোর্ড মিটিংয়ে আপনি হাই তুলছেন, ঢুলছেন বা চোখ রগরাচ্ছেন- তো ব্যাস খেল খতম! আপনি অলস, কাজে মন নেই, অনিয়ন্ত্রিত জীবন আপনার- এই সব ঝাড়ি বসের কাছ থেকে শুনতে শুনতে জান বের হয়ে যাবে। বলা যায় না হয়তো বসের মুখ থেকে এ কথাও শুনতে হতে পারে, “এই বাজারে নতুন আরেকটি চাকরি যোগাড় কত কঠিন তা নিশ্চয়ই আপনি জানেন। ” অতএব রাতজাগার কারণ বসের কানে যাতে কোনোভাবেই না যায়। তিন. অসুখের কারণ: অসুস্থ আপনি হতেই পারেন, অফিসে মেডিকেল লিভ এরও ব্যবস্থা আছে।

কিন্তু অসুখের কারণ জানানোর ক্ষেত্রে সাবধান! ক্রনিক বা নিয়মিত অসুখের কারণ বসদের জানাবেন না। “ওতো সবসময় অসুখ বাঁধিয়েই পরে থাকে, কাজ কি করবে” এমন কথা তবে আপনাকে নিয়মিতই শুনতে হতে পারে। তবে সবচাইতে বেশি সাবধান থাকবেন ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ অসুখের কারণগুলো জানানোর সময়। আপনি পুরুষ হয়ে একান্ত ব্যক্তিগত অসুখের কারণগুলো উল্লেখ করলেন ছুটির দরখাস্তে, আর আপনার বস কিনা একজন নারী! দরখাস্ত হাতে পেয়ে তার চেহারাটাই কেমন হতে পারে আর আপনার সম্পর্কে তার ধারণাটাই কেমন হতে পারে ভাবুন। অতএব ছুটির দরখাস্তে খুব খেয়াল রাখবেন।

চার. রাগী এবং ধৈর্যহীন: আপনি হঠাৎ রেগে যান বা আপনার ধৈর্য কম- এ কথা যেন বস কোনোভাবেই না জানতে না পারেন। তাই অফিসকর্তা যতই কড়া কথা বলুন বা হুকুম করুন না কেন প্রতিবাদ করতে যাবেন না। বসের সিদ্ধান্তের সাথে দ্বিমত থাকলে যুক্তি দিয়ে ধীরে ধীরে তাকে বোঝান। আর বস আপনার কথা যদি নাই শুনতে চান তবে কী আর করা, মোগলের সাথে খানা তো খেতেই হবে! কথায় বলে না ‘বস ইজ অলওয়েজ রাইট’। পাঁচ. আগের চাকরি ছাড়ার কারণ: আগের চাকরি ছেড়েই দেন বা আপনাকে বরখাস্তই করা হোক মুল কারণ কখনোই বসকে জানাবেন না।

তাহলে বস আপনার সামান্য ভুল-ত্রুটিকে আগের চাকরি ছাড়ার কারণের সাথে তুলনা করবেন। ভালো সুযোগ খুঁজছেন, দুরত্ব বেশি- এসব কারণকে উল্লেখ করাই নিরাপদ। সংগৃহিত  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।