যশোর-১ (শার্শা) আসনের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিনের ব্যাপারে আগামী রোববার সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই দিন যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের সাংসদ মনিরুল ইসলামের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।
গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনী এক মতবিনিময় সভায় শেখ আফিল উদ্দীন যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের ভোটকেন্দ্র দখল করে বেলা ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করে আনন্দ মিছিল করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন। ২ জানুয়ারি আফিল উদ্দিনের ওই বক্তব্যের সিডি সাংবাদিকদের হাতে পৌঁছায়।
পরে আফিলের বক্তব্যের সিডিসহ ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়। যশোর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শাহীন-উল-কবীর এ আবেদন করেন।
আফিল উদ্দিন সেদিন যা বলেছিলেন
‘মাঠ যেন ফাঁকা না হয়ে যায়। ১০০ ছেলে থাকবে প্রতিটি কেন্দ্রে। ওরা বুথে যাবে, আবার এসে লাইনের পেছনে দাঁড়াবে।
ওরা বাড়ি যাবে না। ১০০ ছেলে সব সময় লাইনে থাকবে। এভাবে বুথে যাবে, আবার আসবে। লোক ও সাংবাদিকেরা এসে দেখবে যে ভোটের মাঠ ভরা। ’
ভোটারদের উদ্দেশে আফিল আরও বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দরকার নেই।
ভোটাররা ভোট দেখতে আসবেন। কোনো সমস্যা নেই। ’
এজেন্ট ও কর্মীদের উদ্দেশে সাংসদ বলেন, ‘আর আপনারা যাঁরা আমার নৌকা মার্কার এজেন্ট বা কর্মী, তাঁরা সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে লাইন দিয়ে পর্যায়ক্রমে ভোট দেবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জন করে কর্মী সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবেন। একজন ভোটকেন্দ্রে যাবেন, পেছনে ৯৯ জন অপেক্ষা করবেন।
এভাবে সারা দিন চলতে থাকবে। এভাবে সারা দিনই ওই ১০০ জনই ভোট শেষ করবেন। সাংবাদিকেরা এসে ছবি তুলে নিয়ে যাবেন। সবাই দেখবে ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত ভোটার আছে। ’
কর্মীদের সাহস দিতে গিয়ে আফিল উদ্দিন বলেন, ‘আপনারা যদি কোনো প্রশাসনিক সমস্যায় পড়েন আমাকে বলবেন।
আমি জবাব দেব। তার জন্য যা যা করণীয় ভোটের মাঠে তা কিন্তু করা লাগবে। কী করা লাগবে আমি তো মাইকে বলতে পারব না। একা একা জিজ্ঞাসা করবেন, বলে দেব। সুন্দর করে ভোট করবেন।
ভোট যেন নৌকা পায়, সে জন্য সুন্দর করে ভোট করবেন। মাঠ যেন ফাঁকা হয়ে না যায়। ’
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-১ (শার্শা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বর্তমান সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যশোর-২ আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন মনিরুল ইসলামও।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।