ভারত মহাসাগরে আরও ৩০০টি ভাসমান বস্তুর ছবি দেখা গেছে। মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের একাংশে থাইল্যান্ডের একটি স্যাটেলাইটে ভাসমান বস্তুর ছবি ধরা পড়ে। আজ বৃহস্পতিবার এ খবর জানা গেছে। গতকাল বুধবার ফ্রান্সের একটি স্যাটেলাইটে সাগরে ভাসমান ১২২টি বস্তুর ছবি পাওয়ার কথা জানা যায়। তবে উদ্ধার করা যায়নি কোনো বস্তুই।
সেগুলো নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ কি না, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুই হাজার ৭০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাসমান কিছু বস্তু দেখা গেছে। ফ্রান্সের স্যাটেলাইটে গতকাল যে ১২২টি বস্তু দেখা গেছে, সেখান থেকে এ অঞ্চলের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার।
বিবিসিতে প্রকাশিত খবরে দেশটির জিও ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড স্পেস টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির কর্মকর্তা আনন্দ সিন্দভংস জানান, ভাসমান বস্তুগুলোর আকার সাড়ে ছয় ফুট থেকে শুরু করে ৫০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। তবে ভাসমান বস্তুগুলো নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেননি তিনি।
ভারত মহাসাগরে মালয়েশিয়ার নিখোঁজ উড়োজাহাজের সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিকূল আবহাওয়া। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর গতকাল বুধবার আবার উড়োজাহাজটি অনুসন্ধানের কাজ শুরু হয়। কিন্তু অনুসন্ধানকারী বিমান ও জাহাজগুলোকে আজও প্রতিকূল আবহাওয়ার বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে।
আজকের অনুসন্ধান কাজে ছয়টি সামরিক ও পাঁচটি বেসামরিক বিমান এবং পাঁচটি জাহাজ অংশ নিচ্ছে বলে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আজকের ছবি নিয়ে মোট পাঁচবার স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ করা হলো।
কিন্তু বাস্তবে ধ্বংসাবশেষ হিসেবে একটি টুকরাও চিহ্নিত বা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ উড়োজাহাজ ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে ৮ মার্চ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ে যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে এক ঘণ্টা পরই রাডারের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সাগরে ডুবে ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে মালয়েশিয়া। এই দাবির পক্ষে তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে চীন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।